বিএনএ, ঢাকা: জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, পার্টি থেকে কাউকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা নেই রওশন এরশাদের। রোববার (২৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিষয়টি নিয়ে আজ দুপুর আড়াইটার পর জাপার চেয়ারম্যানের কার্যালয় বনানীতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে মুজিবুল হক বলেন, প্রত্যেকটি দলের গঠনতন্ত্র আছে। জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছে। প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন জিএম কাদের। কাজেই নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তিনি দলের চেয়ারম্যান। মুজিবুল হক মহাসচিব।
মুজিবুল হক বলেন, গঠনতন্ত্রে এমন কোনো ধারা নেই যে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কাউকে বাদ দেবেন। রওশন এর আগে জিএম কাদেরকে বহিষ্কার ঘোষণা করেছেন। এটা তৃতীয়বার। পরে ঘোষণা আবার প্রত্যাহারও করেছেন।
মুজিবুল হক বলেন, আমরা এটা নলেজে (আমলে) নিচ্ছি না। এর ভিত্তি নেই। গঠনতন্ত্রে তার (রওশন) এই ধরনের কোনো ক্ষমতা নেই।
এর আগে দুপুরে দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চন্নুকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) গুলশানে নিজ বাসভবনে জি এম কাদের বিরোধী নেতাকর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ সময় পরবর্তী কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত কাজী মামুনুর রশীদকে নতুন মহাসচিব ঘোষণা করা হয়েছে।
নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করে রওশন বলেন, নেতাকর্মীদের অনুরোধে পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলাম। পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত কাজী মানুনুর রশীদকে মহাসচিব ঘোষণা করছি।
রওশনের গুলশানের বাসায় বৈঠকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অথবা এক মার্চ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে নির্বাচিত চার এমপি উপস্থিত ছিলেন বলেও জানা যায়।
রওশন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বক্তব্য ও বিবৃতি এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাদের ভূমিকা পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৭টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান করে ২৬টি আসনে সমঝোতা করেও জনগণরে সামনে অস্বীকার করে দেশবাসী এবং পার্টির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ছয়টি বিষয় উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, নেতাকর্মীদের অনুরোধে এবং পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে আমি পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি প্রদান করলাম।
বিএনএনিউজ/ বিএম