বিএনএ,ঢাকা: করোনার টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।এখন পর্যন্ত যতগুলো টিকা হয়েছে তার মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সবচেয়ে নিরাপদ বলে দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার(২৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা গ্রহণ কর্মসূচি কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের আরও বলেন,আনন্দঘন পরিবেশে টিকা কর্মসূচি শুরু হয়েছে।দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা টিকা নিয়েছেন।অনেকে টিকা নিতেও আসছেন।এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।করোনার টিকা সংক্রান্ত সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা গ্রহণকারীরা সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর এখনো পাওয়া যায়নি। টিকা পরবর্তী যা করণীয় তা করা হবে।ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য টিকা নিয়েছেন,স্বাস্থ্য সচিবও টিকা নিয়েছেন।ভয় না পেয়ে সবাইকে টিকা গ্রহণেরও আহ্বান জানান তিনি।
করোনা টিকা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে জাহিদ মালেক বলেন,এই টিকা মানুষের জীবন রক্ষার জন্য।সুতরাং এই টিকা নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তারা ভালো কাজ করছেন না।তারা কখনো দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করেন না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যাকসিন হিরো উল্লেখ করে তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রীই প্রথম টিকা কার্যক্রম দেশে শুরু করেছেন।টিকা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।দেশবাসী খুবই আনন্দিত বলে জানান জাহিদ মালেক।
রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে করোনা টিকাদান কার্যক্রম চলছে।হাসপাতালগুলো হলো,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল।
দিনের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।পরে মন্ত্রী পরিষদের প্রথম সদস্য হিসেবে টিকা নেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক।এরপর বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান ও তথ্য সচিব খাজা মিয়া টিকা নেন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি