27 C
আবহাওয়া
৭:০১ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মামলার রায় বাংলায় দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে-প্রধানমন্ত্রী

মামলার রায় বাংলায় দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে-প্রধানমন্ত্রী


বিএনএ, ঢাকা:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালতের রায় ইংরেজি ভাষায় দেয়ার পরিবর্তে বাংলা ভাষায় দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ইংরেজিতে হওয়ায় মামলার কি রায় হলো তা আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না।

রোববার(২৭ডিসেম্বর)  ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকা’ উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী উপরোক্ত তথ্য প্রকাশ করেন।

প্রায় ৩০ একর জমিতে গড়ে ওঠা এ কারাগারটিতে বন্দী ধারণ ক্ষমতা ৩০০ জন। অপরদিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারটির আয়তন মাত্র ৮ দশমিক ৫০ একর ও বন্দী ধারণ ক্ষমতা ২০৮ জন। নতুন কারাগারটি চালু হলে নারী বন্দীদের আবাসন সঙ্কট অনেকাংশে কমবে। একইসঙ্গে নারী বন্দী ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব আসবে।

হাই সিকিউরিটি সম্পন্ন, সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ও আয়তনে বিশাল এবং আধুনিক সুবিধাসম্বলিত এ কারাগারটিতে শুধু নারী বন্দী আটক রাখা হবে। এর মাধ্যমে ঢাকা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন অপরাধের বন্দীদের অন্যত্র না নিয়ে ঢাকাতেই আটক রাখার পথ সুগম হচ্ছে। বর্তমানে সকল নারী বন্দীদের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। গাজীপুরের কাশিমপুরে দেশের প্রথম মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার নির্মাণের পর দেশে এটি দ্বিতীয় মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার। এতে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত উভয় প্রকারের বন্দী রাখা হবে। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত হওয়া নারী বন্দীর আধিক্য ও ঢাকাসহ সারাদেশের নারী বন্দীদের সুবিধার্থে এই বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগারটির নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর নির্মাণ কাজ চলতি বছরের মার্চ মাসে শেষ হলেও করোনাভাইরাসের কারণে এতদিন এটি চালু করা সম্ভব হয়নি।

আজ এ কারাগারটি উদ্বোধন করা হলেও আজ থেকেই এ কারাগারে কোন প্রকার বন্দী রাখা হবে না। করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে আপাতত বন্দী রাখা হবে না। কারাবন্দীদের স্বার্থে কারা কর্তৃপক্ষ দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ কারাগারে কোন বন্দী না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কারাগারটিতে মোট ১০টি ভবন

জানা গেছে, মহিলা এ কেন্দ্রীয় কারাগারটিতে মোট ১০টি ভবন রয়েছে। এসব ভবনের নাম হচ্ছে, বেগম রোকেয়া বন্দী ব্যারাক। এটিই কারাগারের প্রধান ভবন। এতেই সবচেয়ে বেশি বন্দী আটক রাখা হবে। চার তলাবিশিষ্ট এ ভবনটিতে মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। অপর ভবনগুলো হচ্ছে ইলা মিত্র সেন ভবন, নতুন কারাগারটিতে ১২ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত (প্রথম শ্রেণির বন্দী) রাখা হবে। যার নাম দেয়া হয়েছে সুলতানা রাজিয়া ভবন। যেখানে চারটি সেলে সর্বোচ্চ তিনজন করে নারী বন্দী রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। ডা. কাদম্বিনী মেডিক্যাল ভবন বা কারা হাসপাতাল, কারাবন্দীদের চিকিৎসার জন্য তিন তলাবিশিষ্ট এ হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রীতিলতা কিশোরী ভবন, কিশোর অপরাধ করে কারাগারে যাওয়া নারীদের অন্য নানা অপরাধে আটক হওয়া বন্দী থেকে পৃথক করে রাখার জন্য যেখানে ১৮ বছরের নিচের যেকোনো বন্দী অস্থায়ীভাবে এ ওয়ার্ডে রাখা হবে। জঙ্গি, শীর্ষ সন্ত্রাসী, আলোচিত মামলার আসামি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সকল নারী বন্দীকে আটক রাখার জন্য দেশে এই প্রথমবারের মতো কারাগারের ভেতরেই পৃথকভাবে হাই সিকিউরিটি সম্পন্ন সেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সেলে মোট ৩০ জন দুর্র্ধষ নারী বন্দীকে আটক রাখা হবে।

এছাড়া ফাঁসির সেল ও সাধারণ বন্দীদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এর বাইরে প্রথমবারের মতো তৈরি করা হয়েছে মেন্টাল ওয়ার্ড। মানসিকভাবে অসুস্থ নারী বন্দীরা থাকবেন এ ওয়ার্ডে। উৎপাদন ওয়ার্ড ভবন। এতে সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের নানা কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নারী বন্দীদের কারাভ্যন্তরে বই পড়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে প্রন্থাগার বা পাঠাগার। এ ভবনটির নাম দেয়া হয়েছে শহীদ জাহনারা ইমাম গ্রন্থাগার।

তাছাড়া কর্তব্যরত সকল কারারক্ষীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে গার্ড হাউস। এর বাইরে এই প্রথমবারের মতো কোনো কারাগারের ভেতরে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ওয়াশিং প্লান্ট ভবন তৈরি করা হয়েছে। এ মেশিন দিয়ে এই কারাগারের সকল বন্দীর ব্যবহারিত কম্বল ও বিশেষ প্রয়োজনে অন্য যেকোনো কারাগারের কম্বল ওয়াশিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। কম্বল অতি দ্রুত ধোয়া ও শুকাতে এই আধুনিক অটোমেটিক মেশিন ব্যবহার করা হবে।

এ বিষয়ে তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক উপসচিব জহুরুল ইসলাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ক্রমান্বয়ে নারী বন্দী বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী সুবিধাসহ দেশের বৃহত্তম মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারটি নির্মাণ করেছে সরকার। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এ কারাগারটির নির্মাণকাজ গত মার্চ মাসে শেষ করা হয়েছে ও কারা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

কারাগারটিতে এই প্রথমবারের মতো জঙ্গীসহ টেরর নারী বন্দীদের আটক রাখতে হাই সিকিউরিটি সেল ও কিশোরী সেল নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও মানসিক রোগে আক্রান্ত নারী বন্দীদের পৃথক রাখতে মেন্টাল সেল ও লাইব্রেরি ও হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।

বিএনএনিউজ২৪/এসকেকে,এসজিএন

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ