বিএনএ, কক্সবাজার : কক্সবাজার জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে একমাত্র কুতুবদিয়া ছাড়া অপর ৮ টি উপজেলায় পানচাষ হয়।এবারের ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানচাষীদের।লক্ষাধিক পানচাষী নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। গাছ পড়ে দেয়াল চাপা পড়ে এ পর্যন্ত কক্সবাজারে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবারের ঘূর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে জেলার স্বাভাবিক জীবন জীবিকা। বিধ্বস্ত হয় অর্ধলক্ষাধিক বসতবাড়ি। ছোট বড় গাছ ভেঙে পড়ে প্রায় সোয়া তিন লাখ।শিক্ষাপ্রতিষ্টানসহ বিভিন্ন সংগঠনের ঘরের ছালা উড়ে যায় সহস্রাধিক।বিদ্যুৎএর চরম বিপর্যয় ঘটে।জেলার অধিকাংশ এলাকা এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। বিদ্যুৎ এর খুঁটি ট্রান্সফরমার ভেঙে পড়েছে ১হাজার ৩০ টি।
সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানচাষীদের।তিন হাজার একশত হেক্টর পানবরজের মধ্যে ১১ শত হেক্টর পান বরজ মাটির সাথে মিশে গেছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরো একহাজার হেক্টর পানবরজের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালক মোঃ কবির হোসেন জানান, জেলার লক্ষাধিক পানচাষী নিঃস্ব হয়ে গেছে।জেলার সবচেয়ে বেশী মিষ্টি পানের চাষ হয় মহেশখালীতে।এখানকার ৯৫ শতাংশ পান বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান, কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া, বৈদ্যঘোনা লাইট হাউস পাড়া ও মহেশখালী পরিদর্শন করেন ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার। তিনি পান চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেন। তাৎক্ষণিক ২০ নগদ টাকা ১ হাজার বান্ডিল ঢেউ টিন ৫ প্যাকেট শুকনো খাবার,৩০ লাখ টাকার শিশু খাবার, ৫০ হাজার মেট্রিকটনচাল বরাদ্দ দেন।তবে এ বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি জেলা প্রশাসককে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশ দেন।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহীন ইমরান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
মন্ত্রী এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজারে আরো সাড়ে চারশ’ সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হবে।আর ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের কথা জানান।তা ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষীরা মন্ত্রীকে এ সময় সহজশর্তে বিনা সুদে ঋণদানের দাবী জানান।
বিএনএ/ এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, ওজি