স্পোর্টস ডেস্ক: ন্যু ক্যাম্পে যখন বার্সেলোনা বায়ার্ন মিউনিখকে স্বাগত জানালো, ততক্ষণে ইন্টার মিলানের ৪-০ গোলে ভিক্টোরিয়া প্লজেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার খবর এসে গেছে। কাতালানরা জেনেই গেছে, বায়ার্নকে হারালেও গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযান। বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় মানসিকভাবে বার্সা কতটা ধাক্কা খেয়েছে, তা ফুটে উঠেছে তাদের ৩-০ গোলের হারে।
বুধবার বার্সার মাঠে জিতে ‘সি’ গ্রুপের বিজয়ী হয়ে শেষ ষোলোতে বায়ার্ন। ৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট তাদের। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ইন্টার। বার্সা ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে, প্লজেনের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে যাই হোক না কেন এই অবস্থানেই থাকবে তারা। মানে ইউরোপিয়ান ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর ইউরোপা লিগে যোগ দিচ্ছে তারা।
গত বছর গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য দায়ী করা হচ্ছিল লিওনেল মেসির বিদায় ও আর্থিক সংকটের কারণে পুরো ক্লাব বোর্ডের পদত্যাগ। এবার তারা বড় টাকা খরচ করে রবার্ট লেভানডোভস্কি, রাফিনহা ও জুলেস কোন্দেকে কিনেছিল। ভালো কিছুর প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু গ্রুপে পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয় বার্সার। তাতে টানা দ্বিতীয় বছর ইউরোপা লিগে খেলতে হবে তাদের। গত বছর যেখান থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে তারা বিদায় নিয়েছিল।
সাদিও মানের গোলে ১০ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বার্সা। সার্জি গিনাব্রির থ্রু বলে তাদের হেক্টর বেল্লারিনকে বোকা বানিয়ে মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন সেনেগালিজ তারকা। ৩০ মিনিটে এরিক চোপু-মোটিং ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। আরেকবার গিনাব্রির বানিয়ে দেওয়া বলে আড়াআড়ি শটে টের স্টেগেনের পায়ের ফাঁক দিয়ে জাল কাঁপান তিনি।
বিরতির কিছুক্ষণ আগে মনে হয়েছিল, বার্সা পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমাবে। কিন্তু রেফারি অ্যান্থনি টেলর লেভানডোভস্কির ফাউলের দাবি পিচ সাইড মনিটরে দেখে ফিরিয়ে দেন। গিনাব্রি বায়ার্নের তৃতীয় গোল করেছিলেন, কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয়। ম্যাচ শেষ হওয়ার মুহূর্তে বদলি বেঞ্জামিন পাভার্ড ব্যাকপোস্ট দিয়ে গোল করেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ