বিএনএ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সদস্যরা উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম।
আরিফুল ইসলাম বলেন, বিকাল সাড়ে ৪ টায় সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করে দেন উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান। নীলক্ষেত হয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন তারা। এসময় স্যার এএফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুনের নেতৃত্বে হল ছাত্রলীগের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা করে। রড, স্টাম্প ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় ছাত্রদলের প্রায় দশজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আছেন-ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন শাওন, রাজু আহমেদ, ফারহান, আরিফ, শামিম আক্তার শুভ, নাজমুস সাকিব, মুন্সী সোহাগ এবং মুহসিন হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নয়নসহ আরও বেশ কয়েকজন।
হামলার বিষয়ে ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে। উপচার্যের জন্য যে ফুলের তোড়া নিয়ে যাচ্ছিলেন তা নষ্ট করে ফেলে ছাত্রলীগ। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ আশেপাশের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে হামলার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপাতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, হামলার সাথে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত না। এটি ছাত্রদলের অন্তর্দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ। ছাত্রদলের সহিংস আচরণের জন্য জনতা ধরে তাদের গণধোলাই দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে ছাত্রলীগ কোনভাবেই জড়িত নয়।
ঘটনার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের অতিথি হিসেবে মনে করি না। আমরা তাদের অভিভাবক হিসেবে আমাদের সন্তানের মতো দেখাশোনা করি। সব ছাত্রসংগঠনগুলো আমাদের কাছে সমান। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে পড়াশোনার পাশাপাশি মূল্যবোধ গড়ে উঠুক আমরা চাই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে সেই শিক্ষা দেই।’
এর আগে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন দাবি নিয়ে ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে বের হয়ে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। ভিসি চত্বরে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, মুহসিন হল, কবি জসিমউদদীন হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল এবং বাকি হলগুলোর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা টিএসসির দিকে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়াও বিকাল ৩টার আগে থেকেই পুরো ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মহড়া দিতে দেখা যায়।
বিএনএ/এ আর