সাতকানিয়া(চট্টগ্রাম) : ৯১’এর ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ও হার মেনেছে সাতকানিয়াবাসীর এবারের বন্যার অভিজ্ঞতায়। কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে সাতকানিয়ায়। এরইমধ্যে উপজেলার বেশকিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডলু শঙ্খের ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে। উপজেলার কেঁওচিয়া, চরতী, নলুয়া, বাজালিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, ছদাহাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দারা আতঙ্কিত। কেননা বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেলেও খালবিলে পানি থৈ থৈ। এরমধ্যে নতুন করে বন্যা হলে আবার পানিতে ভাসতে হবে।
রবিবার(২৭ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার পৌরসদরের ভোয়ালিয়া পাড়ার ডলু নদীর ভাঙন দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। প্লাবিত হয়েছে কাঞ্চনা, ছদাহা, বাজালিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল । ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় শুকনো খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
সাতকানিয়া পৌর সদরের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা কাইছার হামিদ অভি বলেন, ভোয়ালিয়া পাড়ায় ডলু নদীর ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে মোহাম্মদ নাঈম উদ্দিন বলেন, বন্যা পরবর্তী এতদিন সময় পাওয়ার পরও প্রতিরোধমূলক কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। দুঃসময়ে তড়িৎ সাহায্য করতে সবাই ব্যর্থ। সবার অবহেলায় আজ আবারও অনায়াসে পানি ঢুকছে। সাতকানিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর আফরোজা আক্তার শারমিন বলেন, ডলু নদীর ভাঙ্গা বাঁধ সংস্কার না করলে আমরা আবার পানির তলানিতে থাকবো।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। আজকে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় আবারও ভাঙ্গা বাঁধগুলো সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙা বাঁধ দ্রুত সারিয়ে তুলবেন।
এসএমএনকে, এসজিএন/ হাসনাহেনা