28 C
আবহাওয়া
৩:২৫ পূর্বাহ্ণ - জুন ৩০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ফয়সাল ও মোস্তাফিজ পেয়েছে ৩০ হাজার টাকা!

ফয়সাল ও মোস্তাফিজ পেয়েছে ৩০ হাজার টাকা!

ফয়সাল ও মোস্তাফিজ পেয়েছে ৩০ হাজার টাকা!

।। সৈয়দ সাকিব ।।

বিএনএ, ঢাকা: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় অন্যতম দুই পলাতক আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। বুধবার (২৬ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের পাতাল কালী মন্দিরের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নাম-পরিচয় গোপন করে সীতাকুণ্ড পাতাল কালীমন্দিরে লুকিয়ে ছিলেন গ্রেপ্তার ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। গ্রেপ্তারের পর খাগড়াছড়ি থেকে দুই আসামিকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়।

YouTube player

রাজধানীর পূর্বাচলে হেলিকপ্টার থেকে নেমে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্স মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যায়, দুর্গম পাহাড়ে লুকিয়ে রয়েছেন ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। খবর পেয়ে ডিবির একটি টিম বুধবার পাহাড়ে গিয়ে অবস্থান নেন এবং পুরো পাহাড় ঘিরে ফেলে। পরে হেলিকপ্টার নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

হারুন অর রশীদ বলেন, অজ্ঞান করার জন্য সংসদ সদস্য আনারের নাকে ক্লোরোফরম দেন ফয়সাল। আর মোস্তাফিজ আনারকে উলঙ্গ করে চেয়ারে বেঁধে রাখেন। শিমুল ভূঁইয়ার মূল দুই সহযোগী ছিলেন গ্রেপ্তার হওয়া ফয়সাল ও মোস্তাফিজ।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, সীতাকুণ্ড পাতাল কালী মন্দির এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বী সেজে পলাশ রায় ও শ্যামল রায় নাম ধারণ করেন ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। নাম-পরিচয় গোপন করে ছদ্মবেশে সেই কালী মন্দিরেই থাকতেন দুজন। তারা ২৩ দিন ওই কালী মন্দিরে ছিলেন। আনারকে হত্যার পর ১৯ মে ফয়সাল ও মোস্তাফিজ দেশে ফেরেন।

১৯ মে রাতে আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে কথা বলেন ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। এরপর শাহীন তাদের মাত্র ৩০ হাজার টাকা দেন। এরপর তারা দুর্গম পাহাড়ের ওই কালী মন্দিরে চলে যান।

হারুন বলেন, কলকাতার যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়, সেই কিলিং মিশনে ছিলেন সাতজন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত শিমুল ভূঁইয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় হলেন ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এখন আমাদের মূল কাজ। এ ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আমরা আইনের আওতায় আনব। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল মিলিয়ে মোট নয়জন গ্রেপ্তার হলেন সংসদ সদস্য হত্যার ঘটনায়।

বিএনএনিউজ/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ