বিএনএ, ঢাকা: মুসলমানদের সব থেকে বড় দুইটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি হচ্ছে ঈদ উল আযহা বা কোরবানির ঈদ। কোরবানির দিন কোরবানির আগে অতিরিক্ত ৬ তাকবিরে ২ রাকাত ইদের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতে হয়।
ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম
ঈদুল ফিতরের নামাজের মতো ঈদুল আযহার নামাজও ২ রাকাত। ঈদের নামাজে আজান এবং একামত দেওয়া লাগে না। শুধুমাত্র ইমামের পিছনে জামাতের সাথে অতিরিক্ত ৬ তাকবির দিয়ে ২ রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে হয়।
কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম
ইমামের পিছনে ২ রাকাত নামাজের নিয়তে ইমামের দেওয়া তাকবিরের “আল্লাহু আকবর” সাথে হাত বাধতে হবে। হাত বেধে ছানা দোয়াটি পাঠ করতে হবে। এবার ইমামের সাথে পর পর দুইটি তাকবির দিয়ে হাত ছেড়ে দিতে হবে। তৃতীয় তাকবির দিয়ে নাভি বরাবর হাত বাঁধতে হবে। এবার ইমাম সুরা ফাতিহার সাথে অন্য সুরা মিলিয়ে পড়বেন, মুসল্লিরা নিরবভাবে শুনবে। এবার অন্যান্য নামাজের মত স্বাভাবিকভাবেই ইমামের সাথে রুকু সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতের শুরুতে ইমাম সুরা ফাতিহার সাথে অন্যান্য সুরা মিলিয়ে পড়বেন। এরপর রুকুতে যাওয়ার আগে পর পর তিনটি তাকবির দিতে হবে। প্রত্যেক তাকবিরে হাত ছেড়ে দিতে হবে। এবং তৃতীয় তাকবির দিয়ে সোজাসুজি রুকুতে চলে যেতে হবে। এরপর রুকু সিজদাহ করে আখেরি বৈঠকের মাধ্যমে নামাজ শেষ করতে হবে।
এভাবে কোরবানির ঈদ তথা ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম অনুযায়ী জিলহজ মাসের দশ তারিখ কোরবানির দিন সকালে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে হবে।
ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত
এবার আমরা জেনে নিই কোরবানি ঈদের (ঈদুল আযহা) নামাজের আরবী ও বাংলা নিয়ত। আরবি নিয়ত মনে রাখতে সমস্যা হলে বাংলা নিয়ত করা যাবে। যেকোনো ভাষায় নিয়ত করার বিধান আছে কারণ আল্লাহ সব ভাষা সম্পর্কে অবগত।
ঈদুল আযহার নামাজের আরবি নিয়ত: “নাওয়াইতু আন উছ ল্লিয়া লিল্লাহি তায়আলা রাকয়াতা ছালাতিট ঈদুল আযহা মাআছিত্তাতি তাক-বীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা আলা ইক্বতাদাইতু বিহাজাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
ঈদুল আযহার নামাজের বাংলা নিয়ত: “হে আল্লাহ, আমি কেবলামুখী হয়ে এই ইমামের পিছনে অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সাথে ঈদুল আযহার দু’রাকআত ওয়াজিব নামায আদায় করিতেছি, আল্লাহু আকবার”।
ঈদুল আযহা নামাজের তাকবীর
ঈদের তাকবির তথা আল্লাহর কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করা। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে তাকবির পড়া। এটিই ঈদের প্রথম কাজ।
বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
ঈদুল আযহা (২০২৩) নামাজের ফজিলত
ঈদের রাতের ফজিলত ও আমল: দুই ঈদের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ। ঈদ যেমন আনন্দের বারতা নিয়ে আসে, তেমনি নিয়ে আসে আল্লাহর নৈকট্যলাভের মহাসুযোগ। ঈদের রাত যেমন আনন্দ-খুশির, ঠিক দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ ও মঙ্গলপ্রাপ্তির রাত; জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতলাভের মহাসুযোগপ্রাপ্তির রাত। তাই ঈদের রাত জেগে ইবাদত করার ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক। ঈদের রাতের ফজিলতের কথা বহু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
যেমন ইবনে মাজার মধ্যে দুই ঈদের রাতের ফজিলতের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাতে জাগ্রত থাকবে, সে ব্যক্তির হৃদয় ওই দিন মৃত্যুবরণ করবে না যেদিন অন্য হৃদয়গুলো মৃত্যুবরণ করবে।’ ইবনে মাজাহ।
অর্থাৎ কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থার সময় প্রতিটি মানুষের অন্তর যখন ভীতসন্ত্রস্ত থাকবে এবং মানুষের হিতাহিত জ্ঞান বলতে কিছুই থাকবে না তখনো ঈদের রাতে ইবাদতকারীর অন্তর থাকবে নিশ্চিন্ত ও প্রফুল্ল। কারণ, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতের অধিবাসী হবে। কানজুল উম্মালের মধ্যে চার রাতের ফজিলতের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি চারটি রাত ইবাদতের উদ্দেশ্যে জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। রাতগুলো হলো-জিলহাজ মাসের ৮ তারিখের রাত, আরাফার রাত, ঈদুল আযহার রাত এবং ঈদুল ফিতরের রাত।’ কানজুল উম্মাল।
সুতরাং মুমিনের জীবনে উভয় ঈদের রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য হলো, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাতে জাগ্রত থেকে নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির-আসকার ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করা। দোয়া-ইসতিগফারের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে কবরের আজাব ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি চাওয়া। এবং উভয় রাতে আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিদানলাভের শ্রেষ্ঠ সুযোগ হাতছাড়া না করা।
ঈদুল আজহার দিনের ফজিলত ও আমল: ঈদুল আজহার দিনে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আমল হচ্ছে কোরবানি করা।এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘কোরবানির দিনে কোনো আদমসন্তানের কোরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা থেকে আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয় কোনো আমল নেই। কিয়ামতের দিন কোরবানির পশু শিং, ক্ষুর, লোম প্রভৃতি নিয়ে উপস্থিত হবে। এবং তার রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহর নির্ধারিত মর্যাদার স্থানে পতিত হয়। অতএব, তোমরা প্রফুল্ল চিত্তে কোরবানি কর।’ ইবনে মাজাহ।
ঈদুল আযহার নামাজের উদ্দেশ্যে গোসল করা, যথাসাধ্য পরিষ্কার ও সুন্দর পোশাক পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার করে ঈদগহে উচ্চ:স্বরে তাকবির পাঠ করতে করতে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া, অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা সুন্নত। ঈদুল আযহার দিন না খেয়ে খালি পেটে ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়া সুন্নত। সম্ভব হলে ঈদের নামাজের পর দ্রুত কোরবানি সম্পন্ন করে কোরবানির গোশত দিয়েই ঈদের দিনের আহার শুরু করা মুস্তাহাব। কোরবানির গোস্ত তিন ভাগ করে এক ভাগ আত্মীয়স্বজন ও এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন করা মুস্তাহাব।
নারীদের ঈদুল আযহার (২০২৩) নামাজের নামাজের নিয়ম
নারীদের ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত
ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। দুটি ঈদই পালন হয় ত্যাগ তিতিক্ষার মাঝ দিয়ে খুশির বন্যা বইয়ে দিয়ে। একটি সিয়াম সাধনা অপরটি সম্পদের ত্যাগের মাধ্যমে। আজ আমরা মহিলাদের ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত নিয়ে আলোচনা করবো। আমাদের এই মহিলাদের ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত পোস্টটি তে মহিলাদের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে বলা হয়েছে।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নারী-পুরুষ উভয়কেই জামায়াতের সহিত ও পর্দার মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায়ের হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন- প্রাপ্ত বয়স্ক কুমারী মেয়ে, অন্তপুরবাসিনী তরুনী ও ঋতুবতী নারীরা যেন বের হয় এবং ঈদের নামাযে ও মুসলমানদের দোয়াতে হাজির হয়।
ঋতুবতী নারীরা যেন নামাজের জায়গা থেকে দূরে থাকে।”[সহিহ বুখারী (১/৮৪)]। তাই আজ আমরা মহিলাদের ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম
ঈদের নামাজ পড়তে হয় বৎসরে মাত্র দুইবার, ফলে অনেকেই এর নিয়মকানুন একটু গুলিয়ে ফেলেন। ফলে নামাজের মধ্যেই এদিক সেদিক তাকাতাকি করেন অনেকেই। যার ফলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। অনেকেই কখন হাত বাঁধবেন, কখন হাত না বেঁধে ছেড়ে দেবেন এটা নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন, এমনকি অনেকে একবার ডানপাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন আরেকবার বামপাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন। অথচ বিষয়টা খুবই সহজ।
নামাযের শুরুতে আমরা যে তাকবির দেই (আল্লাহু আকবার বলি) তাকে তাকবিরে তাহরিমা বা প্রথম তাকবির বলা হয়। যে কোন নামাযে এই তাকবির দেওয়া ফরয। ঈদের নামাজে এই তাকবির এবং অন্যান্য সাধারণ তাকবিরের সাথে অতিরিক্ত ৬টি তাকবির দিতে হয়।
সহজভাবে- প্রথমে ঈদের নামাজের নিয়ত করে তাকবীর (আল্লাহু আকবর) বলে তাহরিমা বাঁধতে (বুকের নীচে) হবে ইমামের সাথে সাথে। এরপর নীরবে সুবহানাকা ও তাসমিয়া পাঠ করতে হবে।
এরপর ইমাম তিনবার উচ্চঃস্বরে তাকবীর বলবে। প্রত্যেকবার তাকবীর বলবার সাথে সাথে কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলতে হবে। প্রথম দুইবার হাত নীচে ছেড়ে দিতে হবে আর তৃতীয়বার হাত বুকের নীচে বাঁধতে হবে। অতঃপর ইমাম উচ্চঃস্বরে সুরা ফাতিহা ও অন্য কোন সুরা বা আয়াত পাঠ করবেন। মুক্তাদিগণ উহা শ্রবন করিবে। ইমামের পিছনে রুকু সেজদা করে দ্বিতীয় রাকাতে একইভাবে সুরা ফাতিহা ও অন্য কোন সুরা বা আয়াত পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতের শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে ইমাম তিনবার তাকবীর পাঠ করবেন। তিনবারই হাত ছাড়িয়া দিতে হইবে, বুকে বাঁধা যাবে না। এই তিন তাকবীর বলার সময় প্রত্যেক বার কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠাইয়া তাকবীর বলার পর দুই হাত দুই পাশে ঝুলাইয়া রাখিবে এবং হাত ঝুলন্ত থাকা অবস্থায়ই তাকবীর বলে রুকুতে যেতে হবে। এরপর সাধারণ নামাজের মতোই ইমাম নামাজ শেষ করবেন।
আসুন জেনে নিই ঈদের নামাজের নিয়ম
ঈদের নামাজের ১ম রাকাত
তাকবিরে তাহরিমা (১ম তাকবির)।
হাত বাঁধা (কারণ এর পর ছানা পড়তে হবে)।
ছানা পড়া।
১ম অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া।
হাত ছেড়ে দেওয়া (কেননা এরপরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)।
২য় অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া।
হাত ছেড়ে দেওয়া (কেননা এরপরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)।
৩য় অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া।
হাত বেঁধে ফেলা (কারণ এর পর সূরা পড়া হবে)।
সূরা ফাতিহা + অন্য সূরা মিলানো।
তাকবির দেওয়া।
রুকু করা।
রুকু থেকে দাঁড়ানো।
সিজদায় যাওয়া।
২টি সিজদা করা।
তাকবির দেওয়া (২য় রাকাতের জন্য)।
ঈদের নামাজের ২য় রাকাত
হাত বেঁধে দাঁড়ানো।
সূরা ফাতিহা + অন্য সূরা মিলানো।
৪র্থ অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া।
হাত ছেড়ে দেওয়া (কেননা এরপরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)।
৫ম অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া।
হাত ছেড়ে দেওয়া (কেননা এরপরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)।
৬ষ্ঠ অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া।
হাত না বাঁধা (কেননা এরপরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না, রুকুতে যেতে হচ্ছে)।
রুকু করা।
রুকু থেকে দাঁড়ানো।
সিজদায় যাওয়া।
২টি সিজদা করা।
শেষ বৈঠক + সালাম ফিরানো।
মহিলারা ঘরে একা বা নিজের ঘরের মা বোনদের সাথে নিয়ে বা কয়েক বাড়ির মহিলাদের সাথে নিয়ে একসাথে ঈদের সালাত আদায় করতে পারে। কারো বাড়িতে জামাত করে সালাত আদায় করা বিদাত।
ঈদের দিনে মহিলাদের ঈদগাহে যেতে রাসুল (সাঃ) বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ এতে করে মহিলারা ঈদের মাঠে তাকবির ও দোয়াতে শরিক হতে পারে।
ঈদুল আযহার (কোরবানি ঈদ) নামাজের নিয়ত
ঈদুল আযহা নামাযের নিয়ত আরবিতে
বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতুআন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকআতাই ছালাতিল ঈদিল আযহা মাআ ছিত্তাতি তাকবিরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
ঈদুল আযহা নামাযের বাংলা নিয়ত
আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে ছয় তাকবীরের সাথে ঈদুল আযহার দু’ রাকআত ওয়াজিব নামায পড়তেছি আল্লাহু আকবার।
বিঃদ্রঃ আরবি ও বাংলা দুই ভাবেই নিয়ত করা যায়।
ঈদের নামাজের তাকবীর
আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবর। আল্লাহু আকবর। ওয়া লিল্লাহিল হামদ্।
অর্থঃ আল্লাহ্ মহান, আল্লাহ্ মহান, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই, আল্লাহ্ মহান। আল্লাহ্ মহান। সকল প্রশংসা তাঁর জন্য।
খুতবা: খুতবার সময় কথাবার্তা বলা, চলাফেলা করা, নামাজ পড়া সম্পূর্ণরূপে হারাম। কারও ঈদের নামাজ ছুটে গেলে কিংবা যে কোনো কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় একাকী তা আদায় বা কাজা করার কোনো সুযোগ নেই। তবে চার বা তার অধিক লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে তাদের জন্য ঈদের নামাজ পড়ে নেয়া ওয়াজিব।। নামাজ এর পর অবশ্যই খুতবা শুনবেন, খুতবা শোনা ওয়াজিব ।
মহান আল্লাহপাক আমাদেরকে সঠিক নিয়মে নামাজ পড়ার তাওফিক দিন। আমীন।
বিএনএনিউজ/বিএম,এসজিএন