বিএনএ, ঢাকা: কলকাতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে মৃতদেহ পাওয়া না গেলেও জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) দুপুর ৩টার দিকে জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন থাকলেও সেখানে তিনটি আসনের (ঝিনাইদহ-১, ঝিনাইদহ-২ ও ঝিনাইদহ-৩) তথ্য রয়েছে। ঝিনাইদহ-৪ আসন এবং ওই আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের নাম সেখানে নেই।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৩ মে রাতে খুন হন আনার। হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশের দিনই (২২ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন।
তবে আনোয়ারুল আজিম আনারের সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে জটিলতা আছে। কারণ, তার মৃত্যুর সংবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়কে এখনও কোনো পক্ষ জানায়নি। শুধু গণমাধ্যমের খবরের ওপর ভিত্তি করে কোনো আসন শূন্য ঘোষণা করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সংসদের আইন শাখার কর্মকর্তারা।
বিষয়টি আগামী ৫ জুন দ্বাদশ সংসদের তৃতীয় অধিবেশন শুরুর আগেই ফয়সালা হবে এমন আশা প্রকাশ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘ঘটনাটি ব্যতিক্রম। অতীতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কার্যপ্রণালি বিধিতেও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। এজন্য জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে আরও অপেক্ষা করা হবে।’
সংসদ সদস্য মারা গেলে কিংবা অনুমতি ছাড়া ৯০ কার্যদিবস সংসদের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলে পদ শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে জানায় সংসদ। নির্বাচন কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের আয়োজন করে। সাধারণত কোনো সংসদ সদস্যের মৃত্যুর এক সপ্তাহের মধ্যেই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। সংসদ সদস্য মারা গেলে স্পিকার শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেন। সংসদের অধিবেশন চলাকালে কেউ মারা গেলে ওই দিনের জন্য অধিবেশন মূলতবি করার রেওয়াজ আছে।
এমপি আনারের সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণার বিষয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, তার মরদেহ পাওয়া যায়নি। আমাদের কোনো একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানতে হবে। ওনার মৃত্যুসনদ বা কোনো কাগজপত্র আমাদের কাছে আসতে হবে। শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।’
বিএনএ/এমএফ/এইচ.এম/হাসনা