27 C
আবহাওয়া
১২:০৮ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাংলাদেশ থেকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে শ্রীলংকা

বাংলাদেশ থেকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে শ্রীলংকা

র বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

বিএনএ, ঢাকা: এ প্রথমবারের মতো সরকার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে স্বল্প সময়ের জন্য শ্রীলংকা সরকারকে ২০ থেকে ২৫ কোটি ডলারের বিনিয়োগ বা ঋণ সুবিধা দিচ্ছে।

বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগের আন্তর্জাতিক উপকরণ সোয়াবের (সাময়িক সময়ের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ) আওতায় এ ঋণ সুবিধা দিচ্ছে। এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে এই প্রথমবারের মতো কোনো দেশের সরকারকে সোয়াবের আওতায় বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারি বন্ডে রিজার্ভের অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু কোনো দেশের সরকারকে বিনিয়োগ সুবিধা দেয়নি।

যা এবার শ্রীলংকাকে দেওয়া হচ্ছে। শ্রীলংকাও এর আগে বাংলাদেশ থেকে সোয়াবের আওতায় কোনো বিনিয়োগ সুবিধা নেয়নি। তবে তারা ২০১৫ সালে ভারত থেকে সোয়াবের আওতায় সে দেশের রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগ সুবিধা নিয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, শ্রীলংকা সাম্প্রতিক সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে ভুগছে। বর্তমানে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে মাত্র ৫০০ কোটি ডলার। এ রিজার্ভ দিয়ে তাদের ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। রিজার্ভকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রাখতে হয়।

এ কারণে তারা ঋণ করে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে রিজার্ভ বাড়াচ্ছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর হলেও, শ্রীলংকা আমদানি নির্ভর নয়। তাদের আমদানির পরিমাণ কম। এছাড়া অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধিও ভালো। যে কারণে তাদের বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। আর এটি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ। এতে শ্রীলংকার সরকারের শতভাগ গ্যারান্টি রয়েছে।

সাধারণত লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেটের (লাইবর) সঙ্গে ২ শতাংশ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়। তবে এটি দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।

আকুর সদস্য দেশগুলো বাকিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করে। প্রতি দুই মাস পরপর দেনা-পাওনা সমন্বয় করে। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। যা দিয়ে কমপক্ষে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সগৃহীত

Loading


শিরোনাম বিএনএ