বিএনএ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ দেশে আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে আগামি দুই দিন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।তবে এর প্রভাবে গত সপ্তাহজুড়ে চলা অসহনীয় তাপপ্রবাহ কিছুটা কমেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের দিকে সরে যাওয়ায় সাগর ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। তবে পূর্ণিমার কারণে এখনও শংকা আছে। সাগরে জোয়ারের উচ্চতা ৬ ফুটের বেশি বেড়ে গেছে। এজন্য এখনও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর এই সময়ে ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দেশের অভ্যন্তরে ঝড়ো বা দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশংকায় নদীবন্দরগুলোতেও দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরও ঘনীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ডামরার উত্তর এবং বালেশ্বরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করেছে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর শুক্রবারের দিকে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পাবে এবং তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
এদিকে, বিশাল আকারের এই ঘূর্ণিঝড় সরাসরি আঘাত না করলেও এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় খুলনা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে অনেক গ্রাম। ভেসে গেছে কয়েক হাজার ঘেরের মাছ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। নষ্ট হয়েছে উঠতি ফসল। জোয়ারের পানিতে ডুবে ও বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে ৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুলনার কয়রা ও বাগেরহাটের মোংলা। মোট কত ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন অঞ্চল সেই তথ্য এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি