বিএনএ, চট্টগ্রাম: বিআরটিএ ৭৫ শতাংশ ডিজিটালাইজড হয়েছে। এতে সেবাগ্রহীতারা ঘরে বসেই সেবা নিতে পারবেন। ফলে বিআরটিএ এখন দালালমুক্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরস্থ বিআরটিএ চট্ট মেট্টো সার্কেল-১ নতুন অফিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপ-পরিচালক তৌহিদুল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব ও বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার এ কথা বলেন। এর আগে তিনি নতুন ভবনের ফলক উম্মোচন করেন।
বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, বিআরটিএ’র নতুন আইন ও বিধি অনুযায়ী পুলিশ ভেরিফিকশন প্রতিবেদন ছাড়াই সংশ্লিষ্টরা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন। গড়ে তোলা হচ্ছে আর্কাইভ। ফলে আর হয়রানির শিকার হতে হবে না।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ করতে ও দালালদের দৌরাত্ম্য দূর করতে ঘরেই যেন লাইসেন্স পৌঁছে যায় সে জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোনো কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না পৌঁছে গেলে বিআরটিএ ওয়েবসাইট থেকে কপি সংগ্রহ করা যাবে। সেটাতে বারকোড থাকবে, ফলে আইনপ্রয়োগকারি সংস্থাও চিহ্নিত করতে পারবে এটার সত্যতা।
তিনি আরও বলেন, বিআরটিএতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ভোগান্তির শেষ ছিল না লাইসেন্স গ্রহীতাদের। ভোগান্তি কমাতে এবার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। লাইসেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে লাইসেন্স গ্রহীতাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর লাইসেন্স গ্রহীতার ঠিকানায় ডাক বিভাগের মাধ্যমে লাইসেন্স পৌঁছে দেবে বিআরটিএ। এর জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঁইয়া, উপ- পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক পশ্চিম) মো. জসিম উদ্দিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান,বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান,পরিবহন নেতা মনজুর আলম মঞ্জু , আবু বক্কর সিদ্দিক, বেলায়েত হোসেন বেলাল, চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক কার্ভাডভ্যান এন্ড মিনি ট্রাক মালিক গ্রুপ সাধারণ সম্পাদক কে এম মহিউদ্দীন,হালিমা হাজারি লিপি সহ প্রমুখ।
বিএনএ/এমএফ