বিএনএ: মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ চালুর প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। এজন্য মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা করা প্রয়োজন।
এছাড়া নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্য সহায়তা বাড়াতে খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচি সম্প্রসারণের সুপারিশ করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক।
রাজস্ব কাঠামোয় প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়ায় প্রত্যাশিত রাজস্ব আহরণ করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, রাজস্ব আয়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হচ্ছে না। ফলে সরকারকে অনেক ব্যয়ের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করতে হচ্ছে।
রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজস্ব নীতি ও মুদ্রানীতির মধ্যে সমন্বয় খুব জরুরি। আগামী বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই ভর্তুকি ও সরকারের ব্যয় ব্যবস্থাপনা যৌক্তিকভাবে করতে হবে।
আর ব্যাংকিং খাতে তারল্যের সংকট রয়েছে উল্লেখ করা সিপিডি জানায়, তারল্য সরবরাহ বাড়াতে হবে। এছাড়া বৈশ্বিক পর্যায়ে অনেক পণ্যের দাম কমলেও দেশের অভ্যন্তরে এর প্রভাব নেই। সরকারকে এ বিষয়ে আরও নজর দেয়ার আহবান জানান নির্বাহী পরিচালক।
এদিকে সংস্থার গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মূল্যস্ফীতি বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ঈদকে সামনে রেখে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ চালু করা প্রয়োজন।
বিএনএনিউজ/এ আর