বিএনএ ডেস্ক:ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রির হাসপাতালগুলোতে গুরুতর অসুস্থ এবং অপেক্ষাকৃত তরুণরা ভীড় জমাচ্ছেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রেতাদের ব্যবসা তুঙ্গে। আর ক্লান্ত-বিধ্বস্ত চিকিৎসক ও নার্সরা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে লকডাউনের আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু নগরীর মেয়র সিবাস্তিও মেলোর চিন্তাভাবনা অনেক ইতিবাচক।
তার ভাষ্য, ‘বেঁচে থাকুন, যাতে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে পারি।’ মেয়রের কাছে বাসিন্দাদের জীবনের চেয়ে অর্থনীতির গুরুত্ব বেশি।
হাসপাতালে করোনায় গুরুতর অসুস্থদের দীর্ঘ লাইন, আর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অপেক্ষা লাশের সারি এখন ব্রাজিলের নিত্যদিনের ঘটনা। এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো মহামারির শুরু থেকেই সংক্রমণের বিষয়টি পাত্তা দেননি। সংক্রমণ রোধে লকডাউন কিংবা বিধিনিষেধ জারির সম্পূর্ণ বিপক্ষে তিনি।
দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার নির্বাহি আনা ডি লেমস বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে এই মাত্রার ব্যর্থতা আমরা কখনোই দেখিনি। আমরা গুহার শেষ প্রান্তে কোনো আলো দেখছি না এখনও।’
গত বুধবার ব্রাজিলে করোনায় মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে। সংক্রমণের হিসেব করলে দেশটিতে প্রতি ঘণ্টায় ১২৫ জন আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটগুলোর পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এর মজুদের চেষ্টায় ব্যস্ত। রাজধানী ব্রাসিলিয়া ও ১৬টি রাজ্যের আইসিইউগুলোতে তীব্র বেডের সংকট দেখা দিয়েছে। গত দুই সপ্তাহে রিও গ্রান্ডে ডো সুল রাজ্যের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তির অপেক্ষা রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে।
রাজ্যের রেস্টিঙ্গা ই এক্সট্রিমো হাসপাতালের পরিচালক পাওলো ফার্নান্দো স্কোলারি বলেন, ‘পুরো ব্যবস্থাটা ধসে পড়েছে। লোকজন আরও গুরুতর লক্ষণ, তীব্র শ্বাসকষ্ট এবং চিকিৎসার জন্য মরিয়া হয়ে হাসপাতালে আসছে।’