ওয়াশিংটন ডিসি, ২৭ মার্চ : যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম প্রধান অতিথি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মণ্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মুখ্য উপসহকারী সচিব আরভিন মাসিংগাকে সংগে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর রাষ্ট্রদূত এবং প্রধান অতিথি দূতাবাসে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রর জাতীয় সংগীত বাজানোর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়।
রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা প্রকাশ করেন। তিনি সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হওয়ার আগে প্রলম্বিত রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।
মুখ্য উপসহকারী সচিব আরভিন ম্যাসিঙ্গা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে দেখছে। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ একটি শীর্ষস্থানীয় কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের এই নেতৃত্ব একটি সফল জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ–২৬) অনুষ্ঠানে অবদান রাখবে ।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর দূতাবাস পরিবারের সদস্যদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ৫০তম জাতীয় দিবসে শুভেচছা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রেস বিবৃতি প্রদান করেছে। বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন ‘একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য আমরা একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে তা অনস্বীকার্য।’
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা প্রেরণ করেছেন। শুভেচ্ছা বার্তায় বাইডেন বলেন যে দশ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করে বাংলাদেশ বিশ্বে মানবতা ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি আরো বলেন যে সংকটটির স্থায়ী সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে থাকবে।