বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: পাকিস্তানীদের মতো ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে গিয়ে শিল্পী, সাহিত্যিক ও কবিরা জাতির পিতাকে আগলে রেখেছিলেন।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর আঁকা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের পট’ শীর্ষক দেশের সর্ববৃহৎ স্ক্রল পেইন্টিং প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিজয় ও অর্জনের প্রকৃত ইতিহাস শিশু-কিশোরদের সামনে তুলে ধরতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এটা জানলে তাঁরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবে। প্রকৃত ইতিহাস জানলে শিশু কিশোররা যেমন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে তেমনি স্বার্থপরের মত নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কিছু করার আগ্রহ পাবে। এতে তাদের মাঝে একটা চেতনা আসবে যেটা আমাদের জন্য খুবই দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমারা অনেক দিবস পালন করলেও সেই দিবসের মাহাত্মটা কি, ইতিহাসটা কি এটা আমাদের নতুন প্রজন্ম জানতে পারে না। কাজেই দেশের সঠিক ইতিহাস প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে আরো নজর দেয়া দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতি আমাদের এত সুন্দর একটা দেশ দিয়েছে সেখানে প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের সকলের মাঝে এই শৈল্পিক চেতনাটা রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি জাতির পিতার কন্যা হিসেবে দেশের শিল্প সাহিত্যে পৃষ্ঠপোষকতা করে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিববর্ষের থিমসঙ এবং স্ক্রল পেইন্টিংয়ের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারী পরিবেশিত হয়।
বিএনএ/ এ আর, বি রহমান, হাসিনা আকতার