বিএনএ, নোবিপ্রবি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ৩৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত এসব শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে সদ্য শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সজীব আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ছাত্র থেকে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদানের বিষয়টি খুবই আনন্দের। শিক্ষকতা মহান পেশা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই আগ্রহের সঙ্গে শিক্ষক হওয়ার জন্য পরিশ্রম করেছি, নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। অবশেষে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলাম। বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নই আমার লক্ষ্য। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে একজন আদর্শবান শিক্ষক হতে চাই।’
ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আব্দুর রহমান রিপন বলেন, ‘যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হিসেবে ভর্তি হয়েছিলাম আজ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলাম। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করব। আমার এই অর্জনের পেছনে বিন্দু পরিমাণ হলেও যাদের অবদান রয়েছে তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।’
এদিকে অগ্রজদের শিক্ষক হিসেবে দেখতে পেয়ে অন্যসব শিক্ষার্থীদের মাঝেও উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ফলিত গণিত বিভাগের তানিম আল আব্দু্ল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, ‘নোবিপ্রবির ইতিহাসে এই প্রথম এত জন নোবিপ্রবিয়ান একসঙ্গে নিজ নিজ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এটা আসলেই আমাদের নোবিপ্রবি পরিবারের জন্য শুভ সংকেত। কারণ, নোবিপ্রবিয়ানরাই বুঝবে আমাদের ক্যাম্পাসে শিক্ষার মান উন্নয়নে কোন বিষয়গুলোর অভাব রয়েছে। আশা করছি নিয়োগপ্রাপ্ত সবাই শিক্ষার মান উন্নয়নে নিজের মত করে কাজ করবে।’
নিয়োগের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, ‘আমার কাছে সর্বোচ্চ প্রাধান্য আমার (নোবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অ্যাকাডেমিক ফলাফলের সাথে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায়ও যারা ভালো করেছে তাদেরকেই আমরা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। ভবিষ্যতেও আমরা এভাবেই নিয়োগ দেব। শিক্ষার্থীদের বলবো যাদের শিক্ষকতায় আসার স্বপ্ন, তোমরা এখন থেকেই ভালোভাবে পড়াশোনা করো। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবে।’
শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেন যারা:
ফার্মেসি বিভাগের আব্দুর রহমান শরীফ, আব্দুল বারেক, আব্দুর রহমান রিপন ও মাহমুদুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের মো. গোলাম কিবরিয়া, আক্তার ইমাম ও ফারিয়ান তাহরিম ভিকি, ইংরেজি বিভাগের হুমায়রা সুলতানা, শাহেরা খাতুন ও নুসরাত জাহান অনামিকা। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অতুন সাহা, সুমিতা রানী সাহা, নিক্কন সরকার, সুলতানা রাজিয়া ও উদিতি পাল বৃষ্টি। অ্যাপ্লায়েড কেমেস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আব্দুস সামাদ, আফরিন মুন্নি, কানিজ ফাতেমা জিতু ও ফারিয়া আফরোজ, ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স বিভাগের আসাদুল হাবিব, লিঙ্কন চন্দ্র শীল, মো. নাহিয়ান রহমান ও স্বর্ণিমা ঘোষ, অ্যাপ্লায়েড ম্যাথম্যাটিক্স বিভাগের জামাল উদ্দিন, আব্দুল করিম ও জান্নাতুন নাঈম। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হাসান ইমাম ও শারমিন আক্তার মিলু, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সজীব আহমেদ ও নিগার সুলতানা কাকন, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের আফসানা কবির দীপ্তি ও জাহানারা আক্তার লিপি, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাহবুবুল আলম নাইম, কৃষি বিভাগের সাবিয়া খান, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফারজানা মিতু ও মো. ইয়াসিন মিয়া।
বিএনএ/শাফি, এমএফ