বিশ্ব ডেস্ক: নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার এক মাসেরও কম সময় বাকি(২০ জানুয়ারি শপথ)। ওভাল অফিসের চেয়ারে ট্রাম্প বসার আগেই নিজের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা সব কাজ সম্পন্ন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মেয়াদের শেষ দিকে এসে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে ধারাবাহিকতাতেই মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) টাকমাথা ঈগলকে জাতীয় পাখির স্বীকৃতি দিলেন তিনি।
এদিন ৫০টি বিলে স্বাক্ষর করেছেন বাইডেন। টাকমাথা ঈগলকে স্বীকৃতি দেয়া ছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন তিনি।
এর মধ্যে রয়েছে নিজ সন্তান হান্টার বাইডেনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা। গত সেপ্টেম্বর মাসে কর ফাঁকির মামলায় হান্টার বাইডেনের ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়। এ ছাড়া বন্দুক–সংক্রান্ত আলাদা মামলায় তাঁর ২৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল।
হান্টার বাইডেন এ বছরের শুরুতে মাদক সেবন ও অস্ত্রের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এ ছাড়া কর ফাঁকির ঘটনাতেও তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।
বাইডেন বারবারই বলে এসেছেন, তিনি ছেলেকে ক্ষমা করবেন না। তিনি বলেছিলেন, তিনি বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন।
ছেলে হান্টারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হান্টারের সাজার ঘটনাকে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে আদালতের ব্যর্থতা বলেও মন্তব্য করেন।
এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘হান্টারের মামলার তথ্য যাচাই করলে যে কেউ বুঝতে পারবেন, শুধু আমার ছেলে হওয়ার কারণে তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। আর এটা ভুল।’ কংগ্রেসে বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের উসকানিতে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করেন বাইডেন। নির্বাচনে বাইডেনের বিরোধিতা করতেই বিরোধী দলগুলো এমন উসকানি দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের এমন ক্ষমা প্রদর্শনের আরও দৃষ্টান্ত রয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন কোকেন–সংক্রান্ত মামলায় তাঁর সৎভাইকে ক্ষমা করেছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাঁর আগের মেয়াদে কর ফাঁকির মামলায় বেয়াইকে ক্ষমা করেন। তাঁরা সবাই কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। খবর রয়টার্স এর।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন