বিএনএ ঢাকা: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অপরাধ শিগগিরই সীমান্তের বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এই ইস্যুতে যথাযথ মনোযোগ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) কম্বোডিয়ায় দুই দিনব্যাপী ১৩তম আসেম (এএসইএম) শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
সে সময় বিশ্ব সম্প্রদায়কে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংকটের প্রতি অস্থায়ী প্রতিক্রিয়া খুব সামান্য উদ্দেশ্য পূরণ করবে। সবার বহুপাক্ষিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হবে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের জন্য একটি স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছে এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল করেছে। তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে জোর দাবি জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারিতে সরকার জীবন ও জীবিকা উভয় সুরক্ষার কৌশল গ্রহণ করেছে। মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় ৫৪০ কোটি মার্কিন ডলারের ২৮টি উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি কষ্টার্জিত উন্নয়ন ধরে রাখা, দারিদ্র ও ক্ষুধা হ্রাস, মা ও শিশুদের রাঁচানো, শিক্ষা, সাক্ষরতা বৃদ্ধি করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করাই তার সরকারের লক্ষ্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া, বদ্বীপ পরিকল্পনার মতো বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু প্রকল্পে এএসইএম অংশীদারদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি