বিএনএ, গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিয়ের নাটক সাজিয়ে এক নারীকে ৭ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৫ অক্টোবর) নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান। তিনি জানান, বিয়ের নাটক সাজিয়ে ৭ বছর ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী নিজে বাদী হয়ে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় চল্লিশোর্ধ্ব ওই নারীর। তিনি দুই সন্তানের জননী। এরপর বাবার বাড়ি থেকে একটি এনজিওতে কাজ করতেন। সেখানে কাজ করার সুবাদে পরিচয় হয় গাজীপুরের কালীগঞ্জ বাজার এলাকার সবজি ব্যবসায়ী নয়ন মিয়ার (৪৫) সঙ্গে। পরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে একাধিক স্থানে একাধিকবার যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে নয়ন। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে স্থানীয় এক কাজীকে দিয়ে বিয়ের নাটক সাজিয়েও তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়। রুমানা বিয়ের প্রমাণ (কাবিননামা) দেখতে চাইলে শুরু হয় নয়নের তালবাহানা। এ ঘটনায় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও নির্যাতিতা ওই নারী বিচার পাননি। অবশেষে নয়ন মিয়া ও তুমুলিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আবু তাহের ওরফে ফারুক হোসেন কাজীকে অভিযুক্ত করে ভুক্তভোগী ওই নারী কালীগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত নয়ন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের আমান উল্লাহ ছেলে। বর্তমানে তিনি কালীগঞ্জ পৌরসভায় মুন্সুরপুর এলাকায় স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।
বিএনএ/রুকন,এমএফ