27 C
আবহাওয়া
২:২২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিনহা হত্যা: ৪৪ তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সিনহা হত্যা: ৪৪ তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সিনহা হত্যা মামলা, নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেন ১৫ আসামি

বিএনএ,কক্সবাজার: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ষষ্ঠ দফায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে ৪৪তম সাক্ষী হিসেবে একটি মোবাইল ফোনের কর্মকর্তা আহসানুল হকের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচারিক কাজ শুরু হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়েছে। আজ সিনহার লাশ থেকে উদ্ধার গুলি ও জব্দ করা বিভিন্ন মালামালের রাসায়নিক পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, মঙ্গলবার সকালে মামলার ৪৪ নম্বর সাক্ষী হিসেবে একটি মোবাইল ফোনের কর্মকর্তা আহসানুল হককে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। লাশ থেকে উদ্ধার গুলি ও জব্দ করা বিভিন্ন মালামালের রাসায়নিক পরীক্ষা যারা করেছেন, তাদের মধ্যে সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পিংকু পোদ্দারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সাক্ষী দেবেন।

এর আগে এক থেকে পঞ্চম ধাপে এসে ছয় সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যসহ ৩৫ জন তাদের জবানবন্দি দেন। তাদের জেরাও করেন ১৫ আসামির আইনজীবীরা।

উল্লেখ, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে পুলিশ আটক করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করা হয়। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।

সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারি কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে পুলিশের ৯ জন সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন, বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ। অপর আসামিরা হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ