বিএনএ ডেস্ক: মাদক বাণিজ্যে পুলিশ-র্যাব ও বিত্তবানরাও জড়িত। যারা মাদক কারবারে যুক্ত থাকবেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়, কেউ বাদ যায় না। এমন মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মাদকাসক্তি নিরাময়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জেলখানায় গিয়ে দেখুন-মাদকের মামলায় পুলিশের সদস্য যেমন আছে, র্যাবের সদস্যও আছে; রয়েছের অন্য ব্যবসায়ীরাও। পুলিশ বলে তার জন্য আইন আলাদা হবে, বিষয়টি এমন নয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেশা করতে চিকিৎসক, সাংবাদিক, ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি আমরাও নিয়ে থাকি। চিকিৎসকরা তো আলাদা জাতি না। দু-একজন পথভ্রষ্ট হতেই পারে।
মাদকের চাহিদা কমাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের কুফল সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে। না হলে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি তা সব বরবাদ হয়ে যাবে। তাই মাদকের ভয়াবহতা থেকে আমাদের ভব্যিষৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে এখনই উদ্যোগী হতে হবে।
পুলিশে নিয়মিত ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে তাকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। চাকরির শুরুতে যারা সিলেক্টেড হবে, তাদেরকে ডোপ টেস্ট করার প্রচলন পুরোপুরি নিতে যাচ্ছি। পুলিশ-বিজিবি সব জায়গায় ডোপ টেস্টের প্রচলন রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হচ্ছে কি না সেখানেও মনে হলে আমরা ডোপ টেস্ট করা হবে।
দেশের জেলখানার ৬০ শতাংশ বন্দিই মাদক কারবারি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শক্তিশালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন করেছি। সারা বাংলাদেশে জেলখানার ধারণক্ষমতা আছে ৪১ হাজারের বেশি। কিছুদিনের মধ্যে এটা আরও বাড়বে। তবে জেলখানা সবসময় থাকে ৮০ হাজার থেকে লাখের বেশি বন্দি থাকে তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই মাদক ব্যবসায়ী।
বিএনএ/এ আর