বিএনএ ঢাকা: ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে আইন না নীতিমালার বিষয়টি এখনও ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আইন ও নীতিমালা করার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত এসেছে-জানিয়ে তিনি বলেন, সব দিক পর্যালোচনার পরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন আয়োজিত এক কর্মশালায় বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশ এগিয়েছে, মানুষ সম্পদশালী হয়েছে। তবে অনেকে বিনিয়োগের ক্ষেত্র যাচাই করেনি। ই-কমার্স সম্প্রসারণের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান প্রলুব্ধ করেছে, যা প্রত্যাশা ছিল না। আড়াই লাখ টাকা দামের মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে দেড় লাখ টাকায়। সরকার তখন এই ব্যবসা যদি বন্ধ করতে বলতো তাহলে মানুষ ক্ষুব্ধ হতো। খাতটি এগিয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্তত ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠানকে বিপদে ফেলা যায়না।
টিপু মুনশি বলেন, ডিজিটাল বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। ই-কমার্স খাতে যা হয়েছে সেটি প্রথম বলেই ঘটেছে, কিন্তু এই খাতটি খুবই সম্ভাবনাময়। ১০ থেকে ২০টি খারাপ প্রতিষ্ঠানের জন্য পুরো সেক্টরের উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না। কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স সম্পর্কে মানুষের ধারণা পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন। এ জন্য মানুষের সচেতনতা বাড়াতে হবে, সাংবাদিকরা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মানুষকে প্রতারিত করার চেষ্টা করছে। ই-কমার্স বিষয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, ডেসটিনি ও যুবকের মালিকপক্ষ গ্রাহকদের অন্তত সাত হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। তাদের সম্পদ বিক্রি করে প্রতিষ্ঠান দুটির ৬০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্তের পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব। তবে মামলা থাকায় এ সংক্রান্ত উদ্যোগ নেয়া যাচ্ছে না বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
এছাড়া, একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে কোরবানির গরু কিনে নিজেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানান টিপু মুনশি।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সম্মেলন কক্ষে কমিশনের প্রধান মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য বি এম সালেহ উদ্দীন, ড. মো. মনজুর কাদির, নাসরিন বেগম, কমিশনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাফরুহ মুরফি, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রেসিডেন্ট শারমিন রিনভি, সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলাম।
বিএনএনিউজ/আরকেসি