27 C
আবহাওয়া
৭:০৬ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সাগরে ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

সাগরে ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

ঝড়

বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: গত কয়েকদিন সারাদেশে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কিন্তু গতকাল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও অস্বস্তি গরম অনুভব হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এ পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সাগরে সৃষ্ট ঝড়টি রোববার সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের দক্ষিণ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার যা ৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, পূর্ব-মধ্য ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেটি ক্রমে শক্তি বাড়িয়ে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে।

ইতোমধ্যেই পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় এই প্রক্রিয়া আরও জোরালো হবে।

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় উপকূলে দমকা হাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ খুব বেশি শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা কম। আর এর গতিমুখ ভারতের অন্ধ্র ও ওডিশা উপকূলে।

তিনি জানান, বাংলাদেশের জন্য এর কারণে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে এর প্রভাবে আগামী দু-তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে।

ভারতীয় মত্স্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সমস্ত ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

ইতিমধ্যেই সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছে মাছ ধরার ট্রলার। কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর,পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, গোসাবা, কুলতলি, ক্যানিং, বাসন্তী-সহ বন্দর এলাকায় পুলিশ, মৎস্য দফতর ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। বুধবার পর্যন্ত মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।

প্রতিটি পঞ্চায়েতে শুকনো খাবার, পানির জার , ত্রিপল মজুত করা হচ্ছে। সেচ, বিদুৎ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের আধিকারিকদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক পি উলগানাথন। কাকদ্বীপে পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফের ২৫ জনের একটি দল। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ফ্লাড সেন্টার, স্কুল বা পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ