বিএনএ, ডেস্ক : ১০ বছর বয়সে ৭০ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কুদ্দুস মুন্সী তার চাচা এক পুলিশ সদস্যের সাথে বেড়াতে গিয়ে রাজশাহীর বাগমারা থেকে হারিয়ে যান। তখন তাকে খুঁজে না পাওয়ায় এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনের ধারণা ছিল কালু মুন্সীর ছেলে কুদ্দুস মুন্সী বাবার একমাত্র পুত্রসন্তান হওয়ায় হয়ত সম্পত্তির লোভে তাকে মেরে ফেলেছে।
কুদ্দুস মুন্সীরা মোট তিন ভাই-বোন। এর মধ্যে জীবিত থাকা ছোট বোন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আশ্রাফবাদ গ্রামে বসবাস করেন। তার বাড়িতেই শতবর্ষী মা মুকবরেরনেছা অবস্থান করছেন।
১২/১৩ দিন আগে নওগাঁর আত্রাই এর সিংসাড়া থেকে মোঃ আইয়ূব আলীর একটি ভিডিও পোস্টে কুদ্দুস মুন্সীর কান্নাজড়িত আকুতির ভিডিও ভাইরাল হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বাড্ডা গ্রামের তার স্বজনরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। পরে বাড্ডা মুন্সী বাড়ীর ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম কিছু নিকট আত্মীয়-স¦জনসহ বাগমারার বাড়ুই পাড়ায় পৌঁছে কুদ্দুস মুন্সীর সাথে দেখা করেন এবং নিশ্চিত হন যে তিনিই ৭০ বছর আগে হাড়িয়ে যাওয়া সেই কুদ্দুস মুন্সী।
কুদ্দুস মুন্সী বর্তমানে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাড়ুইপাড়া গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তিনি ৩ ছেলে ও ৫ কন্যাসন্তানের জনক।
শনিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগমারা থেকে ঢাকা হয়ে তার জীবিত একমাত্র বোন ঝর্ণা বেগমের সাথে থাকা শতবর্ষী মায়ের দেখা করতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আশ্রাফবাদে পৌঁছান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৭০ বছর পর জীবিত মা এবং বোনকে দেখতে পেয়ে কুদ্দুস মুন্সী অবেগে আপ্লুুত হয়ে পরেন । তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ৭০ বছর পর আমি আমার মাকে দেখতে পেয়েছি, আমার চেয়ে সুখি আর কেউ নেই। ।
তার একমাত্র বোন ঝর্ণা বেগম বলেন, আমারার ধারণা ছিল আমার ভাই বাইচা নাই। আমার ভাই ফিরা আইছে এর চেয়ে খুশির খবর আর কি অইত পারে।
কুদ্দুস মুন্সীর বংশের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের কল্যাণে আমরা শেষ পর্যন্ত আমাদের বংশের একজন মুরুব্বিকে খুঁজে পেয়েছি এবং আমি উনাকে খুঁজে পেতে ভূমিকা রাখতে পারায় গর্ববোধ করছি।
বিএনএ/ওজি