বিএনএ, ডেস্ক : বাংলায় একটি প্রবাদ আছে “ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়”। গত রোববার নির্বাচন কমিশনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানিতে ধাক্কাধাক্কি ও হট্টগোলকে কেন্দ্র করে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানাকে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ‘বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।

সোমবার রাতে এর জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ‘র ‘ছাত্রলীগ সংযোগ’ তুলে ধরে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে হাসনাতকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলে মন্তব্য করেছেন রুমিন ফারহানা।
ফেইসবুক পেইজে রুমিন লেখেন, “এটা ঐ ফকিন্নির বাচ্চাটা না, যে আমাকে আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক বলেছে?”
ওই পোস্টে রুমিন হাসনাতের একটি ছবি যুক্ত করেন- যেখানে দেখা যাচ্ছে, ‘সেই-তো ধন্য যে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের গর্বিত কর্মী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন’ লেখা একটি দেয়াল লিখনের সামনে হাসনাত দাঁড়িয়ে আছেন।
একই পোস্টে ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে হাসনাতের দেওয়া পোস্ট, ২০২০ সালের ১৮ই মার্চ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ‘তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের পাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে হাসনাতের একটি লেখা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সঙ্গে হাসনাতের একটি ছবি দিয়েছেন।
এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ জুলাই হাসনাতকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সম্পাদক পদে মনোনয়নের একটি চিঠি যুক্ত করেছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
তাদের মধ্যে এ পাল্টাপাল্টি বক্তব্য শুরু হয়, রোববার নির্বাচন ভবনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানিতে হট্টগোলকে কেন্দ্র করে। সেখানে হাতাহাতিতে জড়ায় বিএনপি ও এনসিপির নেতাকর্মীরা।
শুনানিতে বিএনপির রুমিন ফারহানা ইসির খসড়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এরপর খসড়ার বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ। এর মধ্যে সেখানে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে রুমিন ফারহানার সমালোচনা করে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ রুমিনকে গত সরকারের ‘সুবিধাভোগী’ অভিহিত করে বলেন, “বিগত ১৫ বছর নাকি উনি অনেক ভালো ছিলেন। উনি অবশ্যই ভালো থাকবেন। কারণ, যত ধরনের সুবিধা রয়েছে, সব ধরনের সুবিধা উনি নিয়েছেন।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘বিএনপিতে আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক রয়েছেন অনেকেই, যাঁরা আওয়ামী লীগের থেকেও বেশি আওয়ামী লীগ। তাঁদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, আওয়ামী লীগের ফ্ল্যাটভোগী এবং যারা গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ঠান্ডা করে দিতে চায়, একটি প্রেসক্রিপটিভ ইলেকশনের দিকে আবার যেতে চায়, আমরা বিএনপির এই আওয়ামীবিষয়ক সম্পাদকদের বলব, আপনারা জনগণের পালসকে বুঝুন, ২৪–পরবর্তী জনগণের পালসকে বুঝুন। নতুবা আবার বাংলাদেশ সংকটের দিকে যাবে।’
শামীমা চৌধুরী শাম্মী