বিএনএ ডেস্ক: ” জনকন্ঠ” দখলের ন্যায় “ মাই টিভি” দখলেও কিছু ব্যক্তি পরস্পর যোগসাজশে মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করিয়েছে বলে দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। সোমবার দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন নুর।
নুর বলেন, “আফ্রিদি যদি ক্ষমতাসীনদের হয়ে কিছু করে থাকেন, তবে সেসব বিষয়ে আলাদা মামলা দেওয়া যেত। কিন্তু ভিত্তিহীনভাবে ছাত্র হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া অযৌক্তিক। এতে প্রশাসন বিবেচনাহীন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যার ফলে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্টে বাংলাদেশ আবারও সমালোচিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত না থাকার কারণে এ দুইজনের গ্রেপ্তার ভবিষ্যতে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে যে, মিডিয়া মালিক, ব্যবসায়ী ও সেলিব্রিটিরাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। তার মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে এবং শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের পথ প্রশস্ত করবে।
প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় গত রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে বরিশাল থেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ । পরে গতকাল সোমবার বিকেলে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ।
এর আগে, গত ১৭ আগস্ট একই মামলায় রাজধানীর গুলশান থেকে তৌহিদ আফ্রিদির বাবা নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে ২৩ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ আগস্ট নিহত বাবুর বাবা জয়নাল আবেদীন যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে নাসির উদ্দিন সাথী ২২ নম্বর আসামি এবং তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
বিএনএ/শাম্মী