বিএনএ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের পর আপত্তিকর ভিডিও ধারণের মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইয়াছমিন এ আদেশ দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের প্রসিকিউশন শাখায় দায়িত্বরত পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, গ্রেপ্তার পাঁচজনকে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল পুলিশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত ১৭ জুলাই রাতে ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হন। মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন যুবক ছাত্রীর সঙ্গে থাকা তার বন্ধুকে আটকে রেখে তাকে যৌন নিপীড়নের পর বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে।
‘এ ঘটনায় ২০ জুলাই ওই ছাত্রী বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেন। ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। শুক্রবার (২২ জুলাই) রাতে র্যাব চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন দুপুরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’- বলেন তিনি।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের মো. আজিম, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ ২য় বর্ষের নুরুল আবছার বাবু, হাটহাজারী সরকারি কলেজ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ১ম বর্ষের ছাত্র নুর হোসেন শাওন ও ২য় বর্ষের মাসুদ রানা ও সাইফুল পড়ালেখা করে না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কর্মচারী আজিমের বাবা আমির হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মচারী এবং ক্যাম্পাসে পরিবার নিয়ে থাকেন বাকি চারজনের বাবাও। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তারের পর আজিম ও বাবুকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাওন এবং মাসুদকে বহিস্কার করেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
বিএনএনিউজ২৪.কম/এনএএম