বিশিষ্ট আইনজীবী, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার (তদানীন্তন অ্যাডভোকেট) আবদুল হক বায়ান্নর ভাষা-আন্দোলনকালে ছিলেন কুষ্টিয়া তমদ্দুন মজলিসের অন্যতম নেতা এবং কুষ্টিয়ার সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি। বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে মিউনিসিপ্যাল স্কুল হলে অ্যাডভোকেট আবদুল হকের সভাপতিত্বে এক বিরাট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পুলিশি গুলিবর্ষণের খবর কুষ্টিয়া গিয়ে পৌঁছালে ২৩ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট আবদুল হকের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অবিলম্বে সরকারের ফ্যাসিস্ট দমননীতি বন্ধ করা এবং শহীদ পরিবারের ক্ষতিপূরণ দাবি জানিয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়। ঢাকায় পুলিশি গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে ২৪ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হয়। বিকালে ইউনাইটেড হাইস্কুল ময়দানে বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় অ্যাডভোকেট আবদুল হকের সভাপতিত্বে। সভায় ভাষা-আন্দোলনের ফলে আটককৃতদের আশু মুক্তির দাবি করা হয় সারাদিন ধর্মঘট পালিত হয়। সেদিন আবদুল হকের নেতৃত্বে রাস্তার দু’পাশের দেয়ালে পত্রিকা ও পোস্টারে বাংলাভাষার যৌক্তিকতা ও সরকারের নির্মম অত্যাচারের দৃশ্য তুলে ধরা হয়। কুষ্টিয়ার ভাষা-আন্দোলনে তিনি ছিলেন প্রাণপুরুষ।
সূত্র: যারা অমর ভাষা সংগ্রামে, লেখক: এমআর মাহবুব
সম্পাদনায়: মনির ফয়সাল
পড়ুন আগের পর্ব: ভাষা সৈনিক (১৩) আবদুল হক