বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পর্যুদস্ত প্রতিবেশী দেশ ভারত।অক্সিজেন আর চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ।স্বজন হারানো আর্তনাদে ভারী দিল্লি, মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের আকাশ। করোনা মহামারিতে ভেঙে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে অনেকে বাইরেই অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।কেউবা আবার ব্যর্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। শ্মশানগুলোতেও দাহ করার জায়গা নেই। তাই অনেক হাসপাতালের বেইজমেন্টেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলছে ।
এক সপ্তাহেই সাড়ে ২২ লাখের মতো নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে যা বিশ্বে মহামারির শুরু থেকে এক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রেকর্ড।গত ৭ দিনে মৃত্যুহার বেড়েছে ৮৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৫৪ হাজার ৫৩১ জন। মারা গেছে দুই হাজার ৮০৬ জন।রোববার কেবল মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৮৩২ জনের।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী,সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার ৩শ জন। মোট মারা গেছেন এক লাখ ৯৫ হাজার ১১৬ জন। আক্রান্তের দিক থেকে দেশটি বিশ্বে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে এক কোটি ৪২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৪০ জন এবং বর্তমানে আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছে ২৮ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৪ জন।
এ অবস্থায় চরম বিপর্যস্ত ভারতের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমাদেশগুলো। করনো সংকট মোকাবিলায় দেশটিকে সব ধরনের সহায়তার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ।জরুরি ভিত্তিতে ৬ শতাধিক মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ৪৯৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ভেন্টিলেটরসহ বিভিন্ন সুরক্ষাসামগ্রী পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটকে কাঁচামাল সরবাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে ভারতে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি