37 C
আবহাওয়া
৪:৩০ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

বিএনএ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট পৌর বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরো প্রায় ১০ জন। বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বারৈয়াহাট পৌর এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৫ আগষ্ট পরবর্তী মিরসরাইয়ে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে থাকে। এতে ২ টি হত্যাসহ বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। শৃঙ্খলা ফেরাতে একাধিক নেতাকর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করে সতর্ক করা হলেও কোন পরিবর্তন আসে নাই। তাই মিরসরাই উপজেলা বিএনপিকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে মিরসরাই পৌরসভা, বারৈয়ারহাট পৌরসভা ও মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। কমিটি বিলুপ্তির ৩ দিনের মাথায় নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান অনুসারিদের পদপদবি থেকে বঞ্চিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। নতুন কমিটির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ জানায় নুরুল আমিন চেয়ারম্যান অনুসারিরা। নতুন কমিটির আয়োজনে বেশ কয়েকটি ইফতার মাহফিল পণ্ড করে দিয়ে নিজেরা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে তারা।

সর্বশেষ ২৬ মার্চ উপজেলা সদরে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা নতুন কমিটি ও পদবঞ্চিত নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশংকায় মিরসরাই সদরে ২৪ ঘন্টার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। মিরসরাই উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর নেতৃত্বে নিজামপুর কলেজ শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হলেও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে উপজেলা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজামের নেতৃত্বে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের সহস্রাধিক অনুসারীরা। এসময় মিরসরাই বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে তার কাছে থাকা ৮৯ হাজার টাকা লুট করে নিয়েছে। অপরদিকে বারৈয়ারহাট পৌর এলাকায় দফায় দফায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। এসময় জাবেদ নামে একজনের ঘটনাস্থল মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি একজন পথচারী ঘটনাক্রমে সে হামলার শিকার হয় ও মৃত্যুবরণ করে। এছাড়া সুমন ও মোশারফ নামের ২ বিএনপি কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা এই ঘটনায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারকে দোষারোপ করেছেন।

হতাহত ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ জানতে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির মোহাম্মদ সেলিমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিএনএনিউজ/ আশরাফ উদ্দিন/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ