বিএনএ ডেস্ক:ঘরের মধ্যে সাজানো ইতি আক্তারের কয়েকটি ছবি। ছবিগুলো আজ স্মৃতি হয়ে আছে শিশুটির পরিবারের কাছে।
২০১৮ সালের ২৬ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে পশ্চিম বিরামচর সাহেববাড়ি জামে মসজিদের কাছ থেকে শিশু ইতি আক্তারের (৬) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২ বছর ৭ মাস অতিবাহিত হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। কারণও প্রকাশ হয়নি।
এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বিরামচরের বাসিন্দা শিশুটির পিতা ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুস শহীদ বিচারের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এখন পর্যন্ত মামলার প্রকৃত আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশায় রয়েছে নিহত শিশুর পরিবার।
ইতি হত্যাকাণ্ড শায়েস্তাগঞ্জে একটি আলোচিত ঘটনা। ঘটনার পর দায়ের করা মামলাটি কিছুদিন তদন্ত করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে পিবিআই হবিগঞ্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই হবিগঞ্জ।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই হবিগঞ্জের ইন্সপেক্টর শরীফ রেজাউল করিম জানান, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। অচিরেই এ মামলার রিপোর্ট আদালতে প্রদান করা হবে। প্রকৃত অপরাধীরা ছাড় পাবে না।
ইতি হত্যার দ্রুত বিচারের আকুতি জানিয়ে বাবা আব্দুস শহীদ বলেন, ‘পিবিআই হবিগঞ্জের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তারা এ মামলাটি তদন্ত করছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আমার চাওয়া একটাই- প্রকৃত আসামিকে যেন খুঁজে বের করা হয়। আদালতে যেন তার ফাঁসির আদেশ হয়। কারও শিশু মেয়ে হত্যার শিকার হলে তার কষ্ট একমাত্র তিনিই বুঝতে পারবেন। প্রকৃত দোষির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখে মরতে চাই।’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুর রকিব শিশু ইতি আক্তারের প্রকৃত খুনি বা খুনিদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, ইতি হত্যা মামলাটি প্রথমে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেন থানার এসআই রাজিব। পরে তাকে পাল্টিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করা হয়েছিল ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মানিকুল ইসলামকে। তিনিও মামলাটি তদন্ত করেন। পরে পিবিআই হবিগঞ্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারাও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছে।