বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: মিয়ানমারে এবার সামরিক জান্তা সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ইয়াঙ্গুনের রাজপথ।জান্তা সমর্থকরা ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাজপথে নেমে, বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপক হামলা চালায়।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এ ঘটনাটি মিয়ানমারের পরিস্থতিকে আরও জটিল করে তুলবে। আন্দোলনকারী একটি গোষ্ঠী জানায়, প্রতিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কারণে এ পর্যন্ত ৭শ’ জনের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অভিযুক্ত করে সাজাও দেয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন জান্তারিবোধীরা। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার(২৬ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বিক্ষোভকারীরা। ইয়াঙ্গুনে অং সান সু চির বাসার সামনে গণতন্ত্রের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ হয়।দেশটির অন্যান্য স্থানেও বিক্ষোভ অব্যাহত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের এ লড়াই চলছে।বিক্ষোভ দমাতে মিয়ানমার পুলিশ রাত্রীকালীন ধরপাকড় চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই অশান্ত মিয়ানমার। দাঙ্গা পুলিশ, সেনা সদস্যদের উপেক্ষা করেই ৩ সপ্তাহ ধরে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সব শহরে বিক্ষোভ চলছে।
এর আগে, অভ্যুত্থানের পর থেকে ‘প্রাণঘাতী সহিংসতার’ ঝুঁকি বাড়ায় সামরিক বাহিনীর ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজ মুছে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।অভ্যুত্থানের জেরে আরও ৬ সেনা কর্মকর্তার ওপর ভ্রমণ ও আর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এদিকে,সেনা অভ্যুত্থানের জেরে মিয়ানমার সেনা বাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েই চলেছে।বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার পর এবার মিয়ানমারকে দেয়া আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছে বিশ্ব ব্যাংক।
বিএনএনিউজ/আরকেসি