বিএনএ, ঢাকা : নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি এ ধরনের সংগঠন থাকা ভালো। কিন্তু সেই সংগঠনের কোনো প্রতিবেদন যদি ভুল তথ্য-উপাত্তের ওপর হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, গতানুগতিক হয়, তখন সেই সংগঠনের মান-মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়। গতকালকের প্রতিবেদনও গতানুগতিক, একপেশে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েক দিন আগে নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে টিআইবি একটি বিবৃতি দিয়েছিল। টিআইবি কাজ করে দুর্নীতি নিয়ে। নির্বাচন কমিশন আইন কিংবা নির্বাচন কমিশন গঠন পুরো বিষয়টাই রাজনৈতিক। এই রাজনৈতিক ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে প্রমাণ করেছে টিআইবি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়। টিআইবির বিবৃতি আর বিএনপির বিবৃতির মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না। অর্থাৎ তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয় এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারা প্রতিবেদনও প্রকাশ করে।
তিনি আরও বলেন, ফ্রান্সের লা মন্ড পত্রিকার মতো ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের জরিপে কোনো দেশের দুর্নীতির আর্থিক মাত্রা পরিমাপ করতে পারে না। কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা নিয়ে এই জরিপ পরিচালিত হয়, যা সম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে নয়। যেসব প্রতিষ্ঠানে অর্থে এটি পরিচালিত হয় সেসব সংস্থার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এটি ফ্রান্সে বহুল প্রচারিত পত্রিকা লা মন্ডের বিবৃতি। ২০১৪ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সিমেন্স কোম্পানি থেকে ৩ মিলিয়ন ডলার ফান্ড গ্রহণ করে। যে সিমেন্স কোম্পানি ২০০৮ সালে বিশ্বে দুর্নীতির জন্য সর্বোচ্চ জরিমানা ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
টিআইবি বলেছে, কোনো দেশে মত প্রকাশে স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটিও তারা বিবেচনায় নেয়। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, তাদের যে প্রতিবেদন সেখানে সিঙ্গাপুরকে তারা দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, সেখানে যদি মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে একটি অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে, সিঙ্গাপুরে হাতো গোণা কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল, কয়েকটি পত্রিকা। সেখানে আমাদের দেশের মতো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, বলেন হাছান মাহমুদ।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।