26 C
আবহাওয়া
৯:৪২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ডিআইজি মিজান-দুদক বাছিরের বিরুদ্ধে এক জনের সাক্ষ্য

ডিআইজি মিজান-দুদক বাছিরের বিরুদ্ধে এক জনের সাক্ষ্য

ডিআইজি মিজানসহ চার জনের বিরুদ্ধে দুই জনের সাক্ষ্য

বিএনএ, ঢাকা ( আদালত প্রতিবেদক) : অবৈধভাবে তথ্য পাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে এক জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ বিচারিক আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন নৌবাহিনীর কমান্ডার এম মোতাহার হোসেন।এরপর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। জেরা শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

মামলায় ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়।

নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

মামলার তদন্ত চলাকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।

এ অভিযোগ ওঠার পর বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি।

২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর বিচারক কেএম ইমরুল কায়েসের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারক কেএম ইমরুল কায়েস আসামিদের উপস্থিতিতে এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।এবং মামলাটি আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ দেন।

১৮ মার্চ ঢাকার বিশেষ বিচারিক আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।মামলায় দুই জন আসামিই কারাগারে রয়েছেন।

বিএনএ নিউজ/এসবি, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ