বিএনএ, বরগুনা: সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বরগুনা সার্কিট হাউস সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন হাজারো মানুষ।
জানা গেছে, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৩৭ জনের বাড়ি বরগুনায়। এই ৩৭ জনের মধ্যে চারজনের মরদেহ ঝালকাঠি থেকেই শনাক্ত করে নিয়েছেন স্বজনরা। বাকি ৩৩ মরদেহ শুক্রবার রাত সোয়া ১১টায় বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল থেকে আরও চারজনের মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যায় স্বজনরা। বাকি মরদেহগুলো শনাক্ত করা যায়নি।
বেওয়ারিশ ২৯ মরদেহের জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জানাজা শেষে মরদেহগুলো সদর উপজেলার পোটখালী গ্রামের সরকারি গণকবরে দাফন করা হবে।
এদিকে, নিখোঁজদের সন্ধানে সুগন্ধার তীরে অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা। কেউ আবার ট্রলার নিয়ে নদীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কারো হাতে নিখোঁজদের ছবি। তা নিয়ে নদী তীরের বাসিন্দাদের দেখাচ্ছেন, আর বিলাপ করছেন। কেউ আবার নদী তীরের মিনিপার্ক, ডিসিপার্ক, লঞ্চঘাট এবং ঘটনাস্থল দিয়াকুল এলাকায় ঘুরছেন। অন্তত নিখোঁজ স্বজনদের মরদেহ যেন বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন, সেই অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে সুগন্ধা নদীর গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। তাদেরকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল ও ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়েছে।
বিএনএ/এমএফ