বিএনএ ঢাকা: অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার আগে কাশিমপুর কারাগার থেকে জি কে শামীমকে আদালতে হাজির করা হয়। যাবজ্জীবন পাওয়া তার দেহরক্ষীদের মধ্যে আছেন-জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন ও মুরাদ হোসেন।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয় থেকে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেফতার হন জি কে শামীম। নিকেতন এ-ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে তার অফিসে ১১ ঘণ্টা অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে তার কার্যালয় থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
তখন জিকে শামীম ও তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচার আইনে তিনটি মামলা করে র্যাব। মামলার এজাহারে শামীমকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করা হয়। পরে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাগুলো বিচারাধীন।
অবৈধ অস্ত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দেন। এ মামলায় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আমিনুল ইসলাম ৭০ হাজার টাকায় একটি অস্ত্র কেনেন। জামালপুর জেলা প্রশাসনের ভুয়া লাইসেন্স তৈরি করে প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন করতেন তিনি। পরে ওই অস্ত্রের নকল কাগজপত্র নিয়ে ২০১৭ সালে এস এম বিল্ডাস কোম্পানিতে যোগদেন তিনি। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি এসে জি কে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
অস্ত্র মামলার অন্যান্য আসামিরা নিরাপত্তার অজুহাতে অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেও তারা শর্ত ভঙ্গ করেন। প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করতেন। এর মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসা করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।
বিএনএ নিউজ/এসবি, ওজি