বিএনএ, রাঙামাটি: স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাডভোকেট তোষন চাকমা ও বিউটি দত্তের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের জন্য মুক্তির জন্য কাজ করেছেন। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের দাবি মানাতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু সব সময় দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন।
তিনি আরও বলেন, এক এক জায়গায় খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ভিন্ন ভিন্ন দেওয়া। যিনি নিজেকে ঠকায়, তিনি দেশকে ঠকাতে দেরি করবে না। তারা আমেরিকার কাছে নালিশ করে, বিদেশী শক্তির ওপর নির্ভর করে আন্দোলন করতেছে। আমরা এক সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলেও তিনি বলতেন পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ হয়না। অথচ এখন তাদের নেতাকর্মীরা তত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন।
দীপংকর তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। আজ এক মুজিব লোকান্তরে থাকলেও লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী যেন নিজের ভাষায় পড়ালেখা করতে পারেন, তার জন্য কাজ করছেন বর্তমান সরকার। নানা প্রতিকূলতাতায় এখানে মেডিকেল কলেজ, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাস্তাঘাট করতে হয়েছে। এখনো বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার প্রয়োজন পড়ে। ভয়কে জয় করে কাজ করার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাসাদ্দিক হোসেন কবীর, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অভয় প্রকাশ চাকমা।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য মনসুর আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ রাঙামাটির সহ-সভাপতি সেলিম মাহমুদ সাগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনন্দ বিকাশ চাকমা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মু. আইয়ুবুর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ রাঙামাটির সভাপতি প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানেও অনেকে ষড়যন্ত্র করতেছে। দুষ্কৃতকারীদের কাছ থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। কেউ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বললে, সোচ্চার থাকতে হবে বঙ্গবন্ধু পরিষদকে। সবার মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার পদ্মাসেতু নির্মাণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, রাজাকারদের ফাঁসি দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে শান্তি অনায়ন করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে তিনি বাস্তবায়ন করতেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। উন্নয়নের অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য সবাইকে কাজ করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর দর্শন প্রচার করার কথা বলেন।
আলোচনা সভার আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শেষে দোয়া ও মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
এসময় বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/কাইমুল ইসলাম ছোটন,বিএম