বিএনএ ঢাকা: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানির সময় আদালতের কাঠগড়ায় ফোনালাপের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে ।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, এজলাসে ফোনে কথা বলার বিষয়টি নজরে আসার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এসআই শাহাব উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। কীভাবে ভাইকে (মেজর সিনহা) হত্যা করা হয়েছে সেটি আদালতে উপস্থাপন করছিলেন তিনি। তখন বিচারের কাঠগড়ায় ছিলেন ১৫ জন আসামি। বেলা ১২টার দিকে হঠাৎ দেখা যায় আসামি প্রদীপ কুমার দাশ কাঠগড়ায় বসে মোবাইলে কথা বলছেন! এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
প্রদীপের কথা বলার একটি ছবি এর মধ্যেই সামাজি যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আদালত কক্ষের কাটগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন বরখাস্ত ওসি প্রদীপ। সে সময় কয়েকজন ব্যক্তি আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এই প্রদীপ কুমার দাশ।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশি কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। এরপর ৫ আগস্ট নয় জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় এবং পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে মামলার তিন নম্বর আসামি করা হয়। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব-১৫। এ মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।
বিএনএনিউজ/আরকেসি