বিএনএ ডেস্ক: তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। নিজ বাড়ির উঠানে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের টানা সাতবারের এমপি ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়ার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাঘাটার গটিয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন গটিয়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মনিরুজ্জামান মনির। জানাজায় ফজলে রাব্বী মিয়ার প্রতিবেশী এলাকার সাধারন মানুষসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রাজনৈতিক সহচর, শুভাকাঙ্খিসহ শতশত মুসল্লিরা অংশ নেয়।
এছাড়া জানাজায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় থেকেও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীসহ রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের নেতারাও অংশ নেয়। জানাজা শেষেই মরহেদ নেয়া হয় পারিবারিক কবরস্থানে। সেখানে বাবা-মা ও দুই ছেলের পাশে দাফন করা হয় ফজলে রাব্বী মিয়াকে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। দাফন শেষে ফজলে রাব্বীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
এরআগে, দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সাঘাটার বোনারপাড়ার হেলেঞ্চা গ্রামের ভেলাকোপা বিলের ফাঁকা মাঠে ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ পোঁছায়। পরে মরদেহ পরিবারের স্বজন ও নেতাকর্মীরা নিয়ে যান ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ওই মাঠেই দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এই জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার-হাজার মানুষ অংশ নেয়।
সোমবার সকাল পৌনে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি ফ্লাইটে ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ দেশে পৌঁছায়। এরপর মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আমেরিকার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। দীর্ঘ ৯ মাস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া। পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বী মিয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতীয় সংসদের পরপর দুইবারের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও সফল জনপ্রতিনিধি ফজলে রাব্বীর মৃত্যুতে শোক বিরাজ করছে সাঘাটা-ফুলছড়িসহ গোটা গাইবান্ধায়।
বিএনএ/ এ আর