বিএনএ ডেস্ক: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট কারচুপির কোন সুযোগ নেই। এটি বেশ সহজ প্রযুক্তি। এমন দাবি করেছেন প্রযুক্তিবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বুধবার (২৫ মে) ইভিএম সম্পর্কে জানতে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে নির্বাচন ভবনে যান প্রযুক্তিবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। ইভিএমে ডামি ভোট দিয়ে এর নানান দিক জানতে চান তারা।
পরে ড. জাফর ইকবাল বলেন, কোনো মেশিনের পক্ষেই শতভাগ নিখুঁত হওয়া সম্ভব না। তবে ইভিএম কতটুকু উৎকর্ষতা সাধন করতে পেরেছে এবং এই মেশিনে কোনো সমস্যা হলে তা সমাধানের উপায় আছে কিনা সেটাই হলো আসল বিষয়। ইভিএমে সমস্যা হলে সমাধানের ব্যবস্থা আছে। এখানে বিভিন্ন স্তরে ডাটা রক্ষা করা যায়।
ইভিএমে ভোট গণনার ফলাফলকে নিজেদের পক্ষে নেয়া সম্ভব; বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ড. জাফর ইকবাল বলেন, যারা এমন অভিযোগ এনেছেন আমি তাদের অনুরোধ করবো আপনারা লিখিত আকারে এই অভিযোগটি দিন। কীভাবে কারচুপি করা সম্ভব এবং আমাদেরকে সেটা করে দেখান।
ইভিএমে ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করার জায়গা নেই উল্লেখ করে ড. জাফর ইকবাল বলেন, ফলাফল প্রভাবিত করতে যে স্তরে যেতে হবে তা অনেকটাই অসম্ভব। এই মেশিন অপারেটের শুরুতে দেখা নেয়া সম্ভব যে, ভেতরে কী আছে। নির্বাচনে বিভিন্ন দলের পোলিং এজেন্টরা থাকবেন। তাদের পক্ষেও পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব।
বিশেষ কোডিংয়ের মাধ্যমে এক মার্কার ভোট আরেক মার্কায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। বলেন, আমি সার্কিটগুলোও দেখেছি। এখানে ফল প্রভাবিত করা ভার্চুয়ালি অসম্ভব।
এসময় ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, কোনো মেশিনকেই শতভাগ বিশ্বাস করা যাবে না। তবে এখানে মেশিনের জায়গায় আর কোনো কাজ বাকি নেই। ফলাফল প্রভাবিত করারও সুযোগ নেই। প্রতিটি জায়গা এমনভাবে কাস্টমাইজ করা হয়েছে যে, কেউ চাইলেই তা পরিবর্তন করতে পারবেন না।
ড. কায়কোবাদ বলেন, এই প্রকল্পের সাথে যারা ৪-৫ বছর ধরে কাজ করেছেন তাদের আত্মবিশ্বাসে আমি নিশ্চিত খুবই ভালো মেশিন তৈরি করা হয়েছে। আমি আশা করবো নির্বাচন কমিশন এমন ব্যবস্থা করবে, যেকোনো নাগরিক এসে যেন মেশিনটি পরীক্ষা করে দেখতে পারে সবকিছু ঠিকভাবে আছে কিনা।
বিএনএ/এ আর