বিএনএ,কক্সবাজার: টেকনাফের জাদিমুড়া এলাকা থেকে ৩ ঘন্টার ব্যবধানে অপহৃত রোহিঙ্গা ৫ শিশুর পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।এবার মুক্তিপণের দাবীর স্টাইল ছিল ভিন্ন রকম। বিদেশি মোবাইল থেকে অপহৃত ৫ শিশুর পরিবারের কাছে ফোন করা হয়েছে। দাবী করা হয়েছে বিশ লক্ষ টাকা।
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হালিম জানান, টেকনাফ থানার পৃথক তিনটি টীম অপহ্নত রোহিঙ্গা শিশুদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অপহরণের পেছনে রোহিঙ্গা জঙ্গী সংগঠন আরসা, আল ইয়াকিনসহ রোহিঙ্গা স্থানীয় সন্ত্রাসী জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকটি দূর্গম পাহাড়ী জনপদ হওয়ায় অপরাধীরা বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার(২৫ এপ্রিল) বিকাল ৪ টায় নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. একরাম মুক্তিপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে জাদিমুড়ার ন্যাচার পার্ক থেকে মুখোশধারী ৭/৮ সশস্ত্র সন্ত্রাসী প্রথমে ৩ শিশু পরে আরো ২ জনসহ ৫ শিশুকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গেছে। এর পর অপহৃতদের পরিবারের কাছে ফোনে মুক্তিপণ দাবি করেছে। অপহৃত ৫ শিশুর মধ্যে তার বাড়ির নিকটের একই ব্লকের ৩ জন রয়েছে।
অপহৃতরা হল টেকনাফের নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের সি ব্লকের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল (১৩), মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে নূর কামাল (১২), উবায়দুল্লাহর ছেলে নূর আরাফাত (১২), বি ব্লকের মো. রফিকের ছেলে ওসমান (১৪), ডি ব্লকের মাহাত আমিনের ছেলে নুর কামাল (১৫)।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, ওই শিশুরা ঈদ উপলক্ষে বাইরে ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে ছিল। এসময় ন্যাচার পার্ক এলাকা থেকে তারা অপহরণের শিকার হয়। তাদের উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে। তবে মুক্তিপণের বিষয়ে তাদের পরিবারগুলো কিছুই জানায়নি।
বিএনএ/ এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, ওজি