বিএনএ ডেস্ক:মহামারি করোনা সংক্রমণের দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে চলমান লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট ও বিপনী বিতানগুলো খুলেছে।দোকান মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেবেশ কিছু শর্তে দোকান ও বিপানী বিতান খোলার অনুমুতি দেয় সরকার।করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় টানা ১১দিন বিপানী বিতান বন্ধ ছিল।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সরকারের দেয়া শর্তে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও বিপনী বিতান খোলা রাখা যাবে।
গত শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় শাখার উপসচিব রেজাউল ইসলামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে দোকানপাট ও বিপনী বিতান খোলার কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে রোববার থেকে দোকানপাট-শপিংমল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে। বিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাজার বা সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার বিষয়ে মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মার্কেট কমিটিও এ বিষয়ে পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ক্রেতা সাধারণকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাট করতে মার্কেটে আসার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমাতে গত ৫ এপ্রিল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।তবে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক ইত্যাদি খোলার রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এর একদিন পরে রাস্তায় গণপরিবহনের সংকট দেখা দিলে ৭ এপ্রিল থেকে সিটি করপোরেশন এলাকা গণপরিবহণ চলার অনুমতি দেয় সরকার।
সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল সকাল থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর বিধি-নিষেধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর গত মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তা ২১ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এর আগে করোনা মোকাবিলায় জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি বৈঠক করে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহে উন্নীত করার সুপারিশ করে। সেই আলোকে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধি-নিষেধ বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে তা অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী।
কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের পর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখার অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন দোকান মালিকেরা। এবার সেটি বিবেচনায় নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করল সরকার।
এদিকে,ঈদুল ফিতরের আগে দোকানপাট ও বিপনী বিতান খুলে দেয়া হয়েছে-এমন সংবাদ পেয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে রাজধানীর দিকে ছুটে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে দক্ষিণবঙ্গমুখী শিমুলিয়া ঘাটে শনিবার থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে। এছাড়া বিধি-নিষেধের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যে যেভাবে পারছেন ঢাকায় আসার চেষ্টা করছেন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি