বিএনএ, ঢাকা : বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বার্ধক্যজনিত ও নানা রোগে ৯৩ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সন্জীদা খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সন্জীদা খাতুন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সঙ্গীতজ্ঞ ও শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সভাপতি। এ ছাড়া তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩২ সালের ৪ এপ্রিল। তার বাবা বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেতা জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত কাজী মোতাহার হোসেন, মা সাজেদা খাতুন।
বাঙালি সংস্কৃতির প্রগতিশীল বিকাশে আত্ননিবেদিত সন্জীদা খাতুন সাংস্কৃতিক জগতে এক অনন্য মানুষ। ভাষা আন্দোলন, সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন, শত বাধার মুখে রবীন্দ্র-শতবর্ষ উদ্যাপন, বটমূলে বর্ষবরণ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনকে ঋদ্ধ করে বাঙালিত্বের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।
মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ গঠনেও অগ্রণী সাংস্কৃতিক নেত্রীর ভূমিকায় ছিলেনসন্জীদা খাতুন। তাঁর ঐকান্তিক সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে ‘ছায়ানট’ ও জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের মতো সংগঠন। এ ছাড়া ‘ব্রতচারী’ আন্দোলন আর কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনও তাঁর কর্মকুশলতায় সমুজ্জ্বল। শিশু-শিক্ষার উদ্ভাবনী কর্মতৎপরতায় যুক্ত হয়ে গড়ে তুলেছেন ‘নালন্দা বিদ্যালয়’।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।