বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: করোনাভাইরাসের লকডাউনের সময় ২০২০ সালে পাকিস্তানি তরুণী ইকরা জিওয়ানি ও ভারতের বেঙ্গালুরুর মুলায়াম সিং যাদবের প্রথম অনলাইনে দেখা হয়। অনলাইনে লুডো খেলা থেকে সেই পরিচয় এক সময় পরিণত হয়ে প্রেমে। আর এ প্রেমের টানেই পাকিস্তান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল ও ভারত ভ্রমণ করেন ইকরা। তবে শেষ পর্যন্ত প্রেমে পূর্ণতা পাননি তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মুলায়ামের সঙ্গে প্রেম হওয়ার পর ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ১৬ বছরের ইকরা। কিন্তু এ দুই দেশের মানুষ একে অপরের দেশে ভ্রমণ করতে গেলে তাদের ভিসা পাওয়াটা জটিল হয়ে পড়ে। তাই নিজের স্বর্ণালঙ্কার বেচে ও বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করে দুবাই, নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
গত সেপ্টেম্বরে ২৬ বছরের মুলায়ামের সঙ্গে ইকরার নেপালে বিয়ে হয়। তারপরে তারা ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী ব্যাঙ্গালুরুতে বসবাস শুরু করেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইকরাকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করানো ও তাকে জাল আইডি কার্ড পেতে সহায়তা করায় মুলায়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ইকরাকেও আটক করা হয়। এরইমধ্যে ইকরাকে লাহোরে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারত সরকার।
ইকরার বাবা সোহেল জিওয়ানি বলেন, আমার লাজুক মেয়ে কীভাবে ভারত যাওয়ার সাহস পেল তা বুঝতে পারছি না।
তার চাচা আফজাল জিওয়ানি জানান, এলাকায় এক হিন্দু যুবকের স্ত্রী নামাজ পড়ছে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশই ইকরাকে উদ্ধার করে একটি সেফ হোমে রাখে। তাকে জেরা করে সবকিছু জানতে পারে। মুলায়ম তার জন্য একটি আধার কার্ডও বানিয়ে ফেলেছিল। ইকরার নাম পরিবর্তন করে রাভা নামে একটি ভারতীয় পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন। এই ভয়ঙ্কর অধ্যায়ের অবসান ঘটাতে সাহায্য করার জন্য পাকিস্তান এবং ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান আফজাল জিওয়ানি।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ
