বিএনএ,ঢাকা:অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদার(পি কে) হালদারের ৩৩ সহযোগীর বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে এসব ব্যক্তি মোট ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় পাঁচটি মামলা দায়ের করে দুদক।
সোমবার(২৫ জানুয়ারি)রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সরকারী সংস্থাটির সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।তিনি বলেন,রোববার (২৪ জানুয়ারি) পি কে হালদারের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।এরপর রোববার একটি এবং সোমবার আরও চারটিসহ মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এসব মামলায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, সাবেক এমডি মো. রাশেদুল হক, ৯ জন বোর্ড মেম্বার, পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জ্ব কুমার নন্দী, পিকে হালদারের আত্নীয় স্বজন ও সহযোগীসহ ৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে,ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বোর্ডের সদস্যরা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
এরমধ্যে আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৭০কোটি ৮২ লাখ টাকা, সুখাদা প্রপার্টিজ লিমিটেডের নামে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, মেসার্স বর্ণ এর নামে- ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, রাহমান ক্যামিকেলস লিমিটেডের নামে ৫৪কোটি ৫৫ লাখ টাকা ও মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এছাড়া রোববার(২৪ জানুয়ারি)পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়াররম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হকের বিরুদ্ধে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করে দুদক। সোমবার আবারও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে পিকে হালদারের সহযোগীদের অর্থ লোপাটের বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ৮৩ জন ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে।এর মধ্যে ৬২ জনের হিসাবে ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি