বিএনএ, ঢাকা ( আদালত প্রতিবেদক): চট্টগ্রামে মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলায় প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনা সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করে তাদের অব্যাহতি দেন।তারা মারা যাওয়ার কারণেই এই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইঞা ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শমসের।
উল্লেখ্য,১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর।
জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং মৃত্যুর সনদপত্র পেতে দেরি হওয়ায় ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
তারপর দীর্ঘ ১৯ বছর মামলাটি ঝুলে ছিলো।বারবার বিচারক বদলিসহ নানান জটিলতায় ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য শেষে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ২৩ তম বিচারক হিসাবে বিচারক হোসনে আরা মামলাটির রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন।কিন্তু মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের সিআইডি বিভাগকে তদন্ত করতে দেয়া হলে শুরু হয় নতুন জটিলতা।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি মামলাটি থেকে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
বিএনএ নিউজ/এসবি, ওজি