ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ সরকারের কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার ৫০ লাখ টিকা ‘কভিশিল্ড’ বাংলাদেশে আসছে।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় সরকারের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির তিন কোটি টিকার প্রথম চালান বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানা যায়, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় দেশে আসবে আরও ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। এরপর সেগুলো গাজীপুরে অবস্থিত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের গুদামে (ওয়্যারহাউজ) সংরক্ষণ করে রাখা হবে।
দেশে এই ভ্যাকসিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর গুদামে দুইদিন রাখা হবে। তারপর সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয়ভাবে টিকা দেয়া শুরু হতে পারে। গত ১১ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি (বুধবার) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনা টিকা দেয়ার মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
এরপর ২৮ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে প্রাথমিকভাবে করোনার টিকা দেয়া হবে।
এছাড়া আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এই ৫০ লাখ টিকা প্রথম দফায় ৫০ লাখ মানুষকে দেয়া হবে। ২০ জানুয়ারি প্রথম দেশে আসে ভারত সরকারের উপহার দেয়া ২০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।
বিএনএ/এমএইচ