বিএনএ ডেস্ক: খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো শনিবার বাংলাদেশেরও উদযাপিত হবে এই উৎসবটি।
বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি চার্চ সুসজ্জিত করা হয়েছে। মহামারি করোনার কারণে টানা দুই বছর পর এবার অনেকটা বড় পরিসরেই পালিত হবে যিশু খ্রিস্টের জন্ম দিনটি।
আয়োজকরা জানান, এই উৎসবকে ঘিরে কোনো ধরনের হামলার আশঙ্কা নেই। এর আগেও গীর্জাতে বড় ধরনের হামলা হয়নি। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসন থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। পুলিশসহ নিজেদের ভলান্টিয়ারও নিরাপত্তায় কাজ করবে।
তারা বলেন, পরিসর কিছুটা বাড়লেও এবারও স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনেই বড়দিন পালিত হবে। করোনার প্রভাব এখনও আছে, ওমিক্রমনের প্রভাব দৃশ্যমান না। উৎসবে সকলে শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। বাইরে বড় কোনো জমায়েত হবে না। গীর্জায় প্রবেশ পথে স্যানিটাইজার মাস্ক থাকবে।
রাজধানীর কাঁকরাইল চার্চে আর্চ বিশপ বিজয় এন ডি সকলকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিশপ বিজয় এন ডি আরও বলেন,এবারের বড়দিন তাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। কারণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। তিনি স্বাধীনতা এই দেশকে একটি সংবিধান দান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর চালিকাশক্তি ছিল গভীর ভালবাসা। বঙ্গবন্ধু এমন দেশ চেয়েছিলেন যে দেশে ক্ষুধা, দারিদ্র, বৈষম্য থাকবে না। সরকারের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য নারী ক্ষমতায়নে অনেক উন্নত হয়েছে। তারাও সরকারের উন্নয়নে অংশীদার হয়ে থাকতে চান বলে জানান তিনি।
এদিকে, যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন ও বড়দিনে রাজশাহী মহানগরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)। এক আদেশে আরএমপির কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্ন গির্জা ও উপাসনালয়ে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করবেন। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ায় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় ইতোপূর্বে সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি সরকারি নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই কারণে করোনা সংক্রান্ত জারীকৃত স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারী নির্দেশনাগুলো প্রতিপালনসহ রাজশাহী মহানগর এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় বড়দিনে সকল প্রকার সভা, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্ষতিকারক দ্রব্য ব্যবহার, অস্ত্রশস্ত্র, তলোয়ার, বর্শা, বন্দুক, ছোরা বা লাঠি ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঘরোয়াভাবে ধর্মীয় আচারাদী পালন করা যাবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান আরএমপির কমিশনার।
বিএনএনিউজ/আরকেসি